পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (সপ্তম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

るbrペの কেল্প আছেন, যাহার পক্ষে এই সমাজ নিতান্ত প্রয়োজনীয় নহে । কেবল এই দুই কারণের দ্বারাও সামাজিক উপাসনার সমুদায় ফল দর্শিত হইল না । তাহার অার একটা প্রধানতম প্রয়োজন এই যে পরমেশ্বর কেবল আমার পিতা নহেন, তিনি নিখিল ব্ৰহ্মাণ্ডের পিতা, তিনি যেমন অামার পিতা তেমনি তিনি সাধু, অসাধু, পাপী, তাপী, ধনী, নিৰ্দ্ধন, জ্ঞানী, অজ্ঞান সকলেরই পিতা—বিশ্ব বিধান্ত । পরমান্নার এই পিতৃ ভাব আমরা কোথায় সমস্ত হৃদয়ের সহিত অনুভব করিতে পারি ; কোন ৭ ৰুপ, ১ ভাগ সকলেই এই শিক্ষণ পামৰে পয়ম পিক্ষার ধৰ্ম্মই জামাদের এক মাত্র সম্বল, কেবল ধৰ্ম্ম বলেই আমাদের ইতর বিশেষ হইবে। ঈশ্বররাজ্যে যিনি সর্বপ্রগণ্য হইতে চাহেন, ভঁহাকে কাজেই ধৰ্ম্ম বলে বলীয়ান্ধ এবং পবিত্রতা ও সাধুচারিতায় শ্রেষ্ঠ হইতে হইবে। এবশুপ্রকারে যে ৰূপেইচ্ছা দৃষ্টি করি না কেন এষ্ট সমাজ মন্দিরের উপযোগিতা এবং আ বশ্যকভা স্পষ্টই উপলব্ধ হইবে । উপাসনা ভিন্ন, ধৰ্ম্মোপদেশ প্রাপ্তি জ{{ মাদের এই সমাজ মন্দিরে সমাগত হওয়ার অন্যতর কারণ । স্থানে আমাদের ভ্রাতৃ-ভাব স্পষ্ট প্রকাশ । পায় ; সাংসারিক কোন কার্য্যেই নকে ; সংসার অামাদের সকলকে পরম্পর পৃথক করিতেছে, আমরা সংসারের মান, মর্য্যাদা, খ্যাতি, প্রতিপত্তির অনুগামী হইয়া অামাদের ভ্রাতৃ-ভাবকে মন হইতে এক কালে তিরোচিত করিতেছি । যখন পরম পিস্তর সম্মুখে উপস্থিত হই, যেখানে পরাৎপর জগৎ পাতা সকলের প্রতি প্রসন্নবদনে করুণাপূর্ণ-লোচনে দৃষ্টি করেন, যেখানে সাংসারিক কোন প্রকার মান, মর্য্যাদা স্থান পায় না, যখন পিতা সকল-সন্তানকে একই ভাবে গ্রহণ করেন, সেই কেবল একমাত্র সময় যখন আমরা সকলে ভ্রাতৃ-ভাবে সম্মিলিত হইয়া এক ধৰ্ম্ম-গ্রন্থি দ্বারা বদ্ধ হইতে পারি । সেক্ট কেবল এক মাত্র সময় যখন তামরা আমাদের প্রকৃত অবস্থা স্মরণ করিতে পারি, তখনই কেবল ধন-মদে বা পার্থিব মৰ্য্যাদায় মত্ত ব্যক্তি জানিক্তে পারেন যে সে মর্য্যাদায় বা ধনের প্রকৃত গেীরব কিছুই নাই, এবং দীন সাধুও সেই সময় বিগত-শোক হইয়া পার্থিব কোন অভাবের নিমিত্তই আপনাকে ক্লিষ্ট বোধ করেন না, যে উপদেশ দ্বার। আমরা ধু এবং সচ্চরিত্র হইতে পারি, যাহার দ্বারা আমাদিগের আত্মাকে উন্নত এবং আমাদের ধৰ্ম্ম প্রবৃত্তিকে উত্তেজিত করে, যদ্বারা আমরা ঈশ্বর বিষয়ে জ্ঞান লাভ করিতে সমর্থ করিতে ফক্টবে । কই, কার আবশ্যকতা সকলকেই স্বীকার এমন কেল্প নাই, যিনি বলিতে পারেন যে ঈশ্বর-বিষয়ে আমার আর উপদেশের প্রয়োজন নাই ; কেন ন্য আমরা প্রথমেই দেখিয়াছি যে “ যদি এমন মনে কর, যে আমি ব্রহ্মকে সুন্দর রূপে জানিয়াছি, তবে নিশ্চয় তুমি ব্রহ্মের স্বৰূপ অতি অপেই জানিয়াছ ” ধৰ্ম্ম বিষযে, ঈশ্বর বিষয়ে যিনিই ইচ্ছা উপদেশ দিন না কেন তাহাতেই আমরা অবশ্য কিছু না কিছু ফল প্রাপ্ত হইতে পারি। কেবল দিন গেল শব্দেও আমাদের বৈরাগ্য উপস্থিত হইতে পারে । ঈশ্বর ভাবে আত্মাকে উন্নত করিয়া যিনি এখানে উপস্থিত হয়েন, তিনি কখনই শূন্যহস্তে ফিরিয়া যাইবেন না । সেই করুণাময়ের প্রসাদে আমরা অবশ্যই উহাকে জানিতে পারিব। এখানকার উপদেশে যদি আর কিছুও না হয়, তথাচ ঈশ্বর-ভাবে আত্মা পুর্ণ হইয়া ক্ষণ কালের জন্যও বে।