পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (সপ্তম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

دبا ۹ د raیtgه অষ্টাত্রিংশ সাম্বৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ ૨ ૭S পৃথিবীর ধূলি,বৃক্ষলতার প্রাণ ও পশু পক্ষীর | আকাশ তাহ দুরে রাখিতে পারে না, কাল মন অপেক্ষা মনুষ্যের আত্মা উৎকৃষ্ট পদার্থ। সেই উৎকৃষ্ট ভাব উৎকৃষ্ট লোকে অনুভব করিতেছেন এবং জানিতেছেন যে সেই উৎকৃষ্ট তাব পৃথিবীতে বিলীন হইবার নহে। সেই অনন্ত জীবনের সঙ্গে একটি অনিবাৰ্য্য কামনা গ্রথিত হইয়া আছে । মনুষ্য মাত্রেই সেই কামনার বশীভুত। মনের বিচিত্র ভাবের মধ্যে সেই কামনা আধিপত্য করিতেছে । ক্ষুধার সময় ভোজন কর, পিপাসার সময় পান কর, স্বাস্থ্য সুখ অনুভব কর, কৰ্ম্ম কর, বিশ্রাম কর, অবশ্যই এক প্রকার তৃপ্তি লাভ হইবে ; কিন্তু সেই দুৰ্জ্জয় কামনা সেই তৃপ্তির মধ্যেও অতৃপ্তি আনিয়া দিবে । ধন হউক, মান হউক, যশ হউক, অবশ্যই সুখনুভব হইবে ; কিন্তু সেই দুনিবার কামনা সেই সমস্ত সুখের মধ্যেও অসুখ আনিয়া দিবে। শরীর রক্ষা ও সুখ স্বাচ্ছন্দোর নিমিত্ত ঈশ্বর নানাবিধ প্রবৃত্তি প্রদান করিয়াছেন ; নানাবিধ মায়োজন দ্বারা সেই সমস্ত প্রবৃত্তিকে পরিতুষ্ট করিতে হয়। কিন্তু ! পূর্বক সত্যপথ পরিত্যক্ত হয়, তবে আমরা সেই পরিতুষ্ট অবস্থাতেও আমাদের অভাব ইচ্ছা পূর্বক আপনার সর্বনাশ করিতেছি। পরিপূর্ণ হয় না । আত্মা তখনও যেন কিসের । কিসের দ্বারা । জন্য বিলাপ করিতে থাকে । সেই কামনা পরিপূর্ণ হইবে, অনেক দিন তাহা বুঝিতে পারা যায় নাই । আত্মা মৰ্ত্তা লোক অতিক্রম করিয়া বুহ্মলোকে প্রবেশ করিতে চায়–অপূর্ণতা পরিত্যাগ করিয়া পূর্ণতার সহিত মিলিত হইতে চায় । এখন বুঝিতে পারিয়াছি, ব্রহ্মলোক আমাদের গম্য স্থান— ঈশ্বরের সহিত সম্মিলন আমাদের লক্ষ্য । সেই ব্ৰহ্মলোক আমাদের নিকটেই প্রতিষ্ঠিত আছে । আমরা মোহান্ধ বলিয়া দেখিতে পাই না । দুর হইতে দুরতর প্রদেশে গমন করিবার প্রয়োজন নাই। মৃত্যুর আলিঙ্গনেরও অপেক্ষা করিতে হয় না । j | তাহাকে বিলম্বিত করিতে পারে না । কেবল আমাদের উপযুক্ত হওয়া আবশ্যক। ব্ৰহ্মলোক আমাদের আত্মাতে প্রতিষ্ঠিত আছে । সত্য এই ব্ৰহ্মলোকের পথ । সত্যেতে আরোহণ করিয়৷ এই ব্ৰহ্মলোকে প্রবেশ করিতে হইবে। প্রথমেই সত্য চাই । মন যদি সত্য হইতে বিচ্ছিন্ন না হয়, বাক্য যদি সত্য হইতে বিচ্ছিন্ন না হয়, ব্যবহার যদি সত্য হইতে বিচ্ছিন্ন না হয়, তবে আমরা অবিলম্বেই লক্ষ্য স্থানে উত্তীর্ণ হুইব । যে পরিমাণে সত্য হইতে ভ্ৰষ্টতা, সেই পরিমাণে ঈশ্বর হইতে দূরতরে পতন । অসত্য যদি আমাদের বন্ধু হয়, তবে সত্য আমাদের শক্ৰ হইবে এবং ব্রহ্মলোক আমাদের নিকট রুদ্ধ থাকিবে । যদি ভ্রাস্তিক্রমে অসত্য সত্য বলিয়া পরিগৃহীত হয়, তবে যত দিন সেই ভ্রান্তির অবসান না হইবে,তত দিন দিগভ্ৰান্ত পথিকের ন্যায় ঘূর্ণমান হইতে গুইবে গম্য স্থানে উপনীত হওয়া যাইবে না। যদি জ্ঞান তিনিই ধন্য যিনি অসত্যকে বিষবৎ পরিত্যাগ করিয়া সত্যেতে আপনার জীবন প্রতি ষ্ঠিত করিয়াছেন । পৃথিবীতে অনেক সময় সত্য পরাভূত হয় ও অসত্য জয় লাভ করে : কিন্তু বাস্তবিক তাঙ্গ জয় লাভ নহে। ধনের জন্য, মানের জন্য, আত্মরক্ষার জন্য অ | } ! | | | | নেক সময় সত্য লুক্কায়িত ও অসত্য প্রচা রিত হইতেছে। যে আবরণ মনুষ্যের চক্ষুকে আচ্ছাদিত রাখিয়ছে, যদি সহসা তাহ। উদঘাটিত হয়, তাহা হইলে মর্ত্য লোকের অার এক মুৰ্ত্তি দৃষ্টিগোচর হইবে । তখন অনেক প্রফুল্ল বদন মলিন হইবে, অনেক জ্যোতি নিৰ্বাণ হইয়া যাইবে অনেক হাস্য হাহাকার হইয়া উঠিবে, অনেক উচ্চতা নীচত্ব হইয়৷