পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (সপ্তম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> SS সংসার কাগর ও স্বাধীনতা দেখিতে পারে ন! স্বাধীন ভাব দেখিলেই ভীত হইয়া কোলাহল করে । হে সংসার । যে সুন্দর পক্ষী, ঈশ্বর তোমার নীড়ে পোষণ করিতেছেন, অসীম আকাশ তাঙ্কার সঞ্চরণ স্থান । অদ্যাপি তাঙ্গার পক্ষোপ্তেদ হয় নাই বলিয়া ভাগকে নির্যাক্তন করিও না ; সে পক্ষী তোমাতে চির কাল বদ্ধ থাকিবার নাচে ; তাহাকে বন্ধন করিয়া তাহার স্বাভাবিক সৌন্দর্য্য বিনাশ করিও না ; তাহাকে স্বাধীন ভাবে সঞ্চরণ করিতে দাও ; তোমারও মঙ্গল হইবে, পক্ষীও আরাম পাইবে । ব্রহ্মলোক আমাদের গম্য স্থান ; সেই ব্রহ্মলোক তামাদের অন্তরে প্রতিষ্ঠিত আছে। সত্য সেই ব্রহ্মলোকের পথ ; সাধু ভাব সেই পথের আলোক স্বাধীনতা আমাদের मश्कन । সতী সাধু ভাব ও স্বাধীনতা ব্যতীত সত্যস্বৰূপ মঙ্গলস্বৰূপ মুক্তস্বভাব ঈশ্বরের সঙ্গিত সম্মিলনের অার উপায় নাই । য|ইস্তে সত্য নাই, তাহাই অসৎ ; যাহাতে সাধু ভাব নাই. তাছাই মলিন—অন্ধকার ; মাগতে স্বাধীনতা নাই, তাছাই মৃত্যু । সত্যই সৎ, সাধু ভাবই জ্যোতি, ও স্বাধীনতাই `ट्रगृज्ठ । হইয়া আছে : সত্য, জ্যোতি ও অমৃত আনবরত বর্ষিক্ত হইতেছে ; কিন্তু মৰ্ত্ত্য লোক এমনি মলিন যে, ইহার সংসর্গে সত্য অসত্যের সহিত জ্যোতি অন্ধকারের সহিত ও অমৃত মৃত্যুর সঙ্গিত মিশ্রিত হুইয়া বিকার প্রাপ্ত হইতেছে । নিবারের নিৰ্ম্মল ও সুস্বাস্থ জল ধরান্তলে পড়িয়া যতই অগ্রসর হইতেছে, ততই মলিন ও বিস্বাছ ইয়া যাইতেছে; পরিশেষে নামূৰূপ পরিত্যাগ করিয়া ৰূপান্তর ও স্বান্ধান্তর প্রাপ্ত হইতেছে । কিন্তু সুৰ্য্য যেমন সহস্ৰরশ্মি বিস্তার করিয়া তাহাকে সমুদ্র হইতে পুথব্রু করে, বাষ্প করিয়া আকাশে সঞ্চিত যদিও স্বৰ্গদ্বার অবিশ্রান্ত মুক্ত । তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা | ৭ কল্প, ১ ভাগ করে, এবং নিৰ্ম্মল ও সুস্বাছ করিয়া পুনস্বার পৃথিবীতে বর্ষণ করে, সেই ৰূপ ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম অসত্য হইতে সত্যকে, অন্ধকার হইতে জ্যোতিকে ও মৃত্যু হইতে অমৃতকে পৃথক করিয়া উপস্থিত হইয়াছেন। আজি সেই ব্রাহ্মধৰ্ম্মের উৎসব । এক্ষণে আমরা কি করিব ? ব্রাহ্মধৰ্ম্মের সহায়তায় ঈশ্বরের সহিত সম্মিলিত হইব ? ন। আসত্যের মধ্যে, অন্ধকারের মধ্যে ও মৃত্যুর মধ্যে পতিত থাকিয়া আপনাকে বিনাশ করিতে থাকিব? এ সময়ে চতুর্দিকে বিঘ্ন-বিপত্তি দেখিয়া কি কালান্তরের প্রতীক্ষা করিব ? পৃথিবীতে বিস্ত্র বিপত্তি দেখিয় কি লোকান্তরের অপেক্ষা করিব ? কে বলিতে পারে যে, কালান্তরে ও লোকান্তরে কিছুই বিঘ্ন নাই ; আমরা যে অনন্ত জীবন প্রাপ্ত হইয়াছি, তাহা কি কেবল বিলম্ব করিবার নিমিত্তে : ভোগ করিবার নিমিত্তে নয় ? “শ্বঃ কার্য্যমদ্য কৰ্ত্তব্যং পূর্বাহ্লে চাপরাক্লিকং মচি প্রতীক্ষতে মৃত্যুঃ কৃতমস্য নবা কৃতং । " কল্যকার কাজ আদ্য করিয়া লও ; অপরাহের কাজ পূৰ্বাহ্লে শেষ কর । शृङ्का তোমার জন্য অপেক্ষা করিবে না । হয় উর্দুেতে উত্থান, নয় অধোতে পতন ; মধ্য স্থলে দণ্ডায়মান থাকিবার স্থান নাই । যদি বিলম্ব করি, পশ্চাতে পড়িব, অতএব সত্বর হওয়াই উচিত। পদ যেন সম্মুখের দিকে নিক্ষিপ্ত হয়, পশ্চাতে নয় । বিঘ্নকারী শক্ৰগণ আমাদেব অন্তরে, বাহিরে নয় । অন্তরের শত্ৰুগণই আমাদিগের বিস্ত্র উৎপাম্বন করিতেছে, আমাদিগকে বিপথগামী করতেছে, আমাদিগকে লক্ষ্যভ্রষ্ট করি তেছে । বাহিরের শক্ৰগণ বাস্তবিক শক নহে, কৃপাপাত্র অতিদীন । পৃথিবীর বিম পৃথিবীর কাৰ্য্যে ব্যাঘাত দিতে পারে; সমাজের ৰিহ্ম সমাজের কার্ষ্যে ব্যাঘাত" দিতে