পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (সপ্তম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

टेङ;छै। ०१४ > পারে, পরন্তু তৎসমুদায়ের আন্দোলন কেবল বাগাড়ম্বর মাত্র। এক্ষণে কি প্রকারে এই দোষের পরিহার হয়—কি উপায়ে শিক্ষকদিগের আয় ও পদ মর্যাদার বৃদ্ধি হইতে পারে, তাহার বিবেচনা করাই আবশ্যক । ইহাতেও যে কিছু ফল দর্শিবে, তাহারই বা প্রত্যাশা কি ? তবে বিদ্যা-প্রচার বিষয়ে সংপ্ৰতি লোকের যেৰূপ অনুরাগ দেখা যাইতেছে—জাতীয় ভাব প্রবর্দ্ধনার্থে কোন কোন মহাত্মার যে প্রকার আগ্রহ প্রকাশ পাইতেছে, তাছাতে এতাদৃশ প্রযোজনীয় বিষয়ের আন্দোলনে সাহস করা অসঙ্গত নহে । ইহার দ্বারা সমীহিত সিদ্ধি লাভের প্রত্যাশ না থাকুক, অন্তত সহৃদয় মানবগণের চিত্ত আরুষ্ট হইতে পারিবে, এই মনে করিয়াই ইহার মান্দোলনে প্রবৃত্ত হওয় যাইতেছে ! প্রজাগণের ধন প্রাণ রক্ষার ন্যায় বিদ্যা শিক্ষা ও জ্ঞান ধৰ্ম্মের উন্নতিও যে, রাজার যত্নের উপরে বিস্তর নির্ভর করে, তাহাতে সংশয় মাত্র নাই এবং আমাদিগের বিদ্যা শিক্ষার্থে রাজপুরুষেরা যে উচিত মত ব্যয় নিৰ্দ্ধারণ করেন নাই, তাহাও সত্য ; তথাপি বিজাতীয় রাজার অধীনে থাকিয়া আমরা আত্মোৎকর্ষ বিধান | N○○ নিয়মও আছে যে, গ্রামস্থ লোকের সমবেত হইয়া যদি বিদ্যালয় স্থাপন করেন, প্রার্থনা করিলে রাজ কোষ হইতেওঁ সাহায্য প্রাপ্ত হইবে । এ সমস্ত বিবেচনা করিয়া দেখিলে, রাজপুরুষদিগের ইহাতে বিশেষ ক্ৰটি স্বীকার করা যুক্তিযুক্ত হয় না । ইহাতে আমাদিগেরই ক্রটি হইতেছে । আমরা যত্ন করিলেই শিক্ষকদিগের অবস্থা শোধন করিতে পারি । নিরর্থক গ্রাম্য আমোদ প্রমোদে যে সকল অর্থ অপব্যয় কয়, তাহার ষোড়শাংশ মাত্র প্রস্তাবিত বিষয়ে ব্যয়িত হইলে যথেষ্ট হইতে পারে । র্যাহারা ভূসম্পত্তির অধিকারী না হইয়াও চাকরী ও বাণিজ্য ব্যবসায় দ্বারা সমৃদ্ধ হইয়াছেন, তাহদের আয়ের স্থিরত। নাই , সুতরাং ওঁহের উক্ত কার্য্যের উদেশে যদি এক কালে এ ৰূপ পরিমাণে অর্থ উৎসর্গ করেন যে, তাহার বৃদ্ধি দ্বারা উহাতে কিছু সাহায্য হয় তাহ হইলেই বিশিষ্ট ফল দর্শে। বিদ্যা-রসের যেৰূপ জাস্বাদন পাইতেছি, ইহাই আমাদিগের আশার অতিরিক্ত হই- ' তেছে। অতএব শিক্ষকদিগের অবস্থা শোধ মার্থে রাজপুরুষদিগকে অনুরোধ করা উচিত। নহে । কিছু দিন হইল, র্তাহারা এতদ্দেশের শিক্ষা-সংক্রান্ত ইউরোপীয় কৰ্ম্মচারীদিগের সাময়িক বেতন বৃদ্ধি করিবার নিয়ম প্রচারিত করিয়া যদিও কিঞ্চিৎ পক্ষপাত-দোষে লিপ্ত হইয়াছেন, তথাপি তদ্বারা দেশীয় শিক্ষকদিগের অন্তঃকরণে এক প্রকার আশার সঞ্চার করিয়া দিয়াছেন । বিশেষতঃ পল্লীগ্রামে বিদ্যা-প্রচারার্থে তাহাদের এ ৰূপ যাহার। মধ্যবিত্ত, উহাদের এক কালে অধিক অর্থ ব্যয় করা সাধ্য ন হইলেও মাসিক নিয়মে কিছু কিছু দান করা অসম্ভাবিত নহে। তাদৃশ সাহায্যের সমষ্টিও অল্প ফলদায়ক হয় না । অস্থাবর-ধন-সমৃদ্ধ ও মধ্যবিত্ত্ব লোকদিগের ঐকান্তিক প্রযত্নে শিক্ষণ কার্য্যের বিস্তর উন্নতি হইতে পারে বটে, কিন্তু *াহদিগের সহায়তাকে মুখ্য উপায় বলিয়া গ্রহণ করা এস্থলে অভিপ্রেত হইতেছে না । - হারা ভূসম্পত্তি-সমৃদ্ধ, তাহারাই আমাদিগের প্রধান লক্ষ্য । উtহারা মনোযোগ করিলেই শিক্ষা কার্য্যের সমুন্নতি ও শিক্ষকদিগের অবস্থা শোধন অনায়াস-সাধ্য হয় । হিস্থ-সমাজে এতাদৃশ ভূস্বামী প্রায়ই দৃষ্ট হন না, যাহার কিয়দংশ নিষ্কর ভূমি দেব কাৰ্য্য উদ্দেশে নির্দিষ্ট না আছে । যাহাদের বিষয় অতি সামান্য, তাহাদিগেরও