পাতা:তরুণের আহ্বান - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এখন মধ্য জৈবিক স্তরে নয়, তার সঙ্গে সঙ্গে চিন্তা ও অন্যভতির জগতেও এই ধরনের পারস্পরিক মিশ্রণ বিশেষ প্রয়োজনীয় হইয়া দাঁড়াইয়াছে। প্রায়ই বলা হইয়া থাকে, পাশ্চাত্য চিন্তার অভিঘাতেই শােধ মাত্র ভারতের নবজাগরণ ঘটিয়াছে । তাই পাশ্চাত্যের সঙ্গে যোগ যখন ছিন্ন হইয়া যাইবে, তখন আমরা বিনাশ ও ধবংসের মধ্যে তলাইয়া যাইব । কিন্তু এই কাল্পনিক বিনাশের ভয় সম্পণে ভাবে ভিত্তিহীন । কেননা ভারতের নবজাগরণ মািলত স্বাভাবিক ও স্বতঃস্ফৰ্মতভাবে হইয়াছে । এই নবজাগরণ একটি ইচছানিরপেক্ষ ক্লিয়া নয় । জনসাধারণের জীবন ও চিন্তা হইতে তাহা সম্ভব হইয়াছে { যৌবনের ব্ৰত কি ? এই ব্ৰত নিশ্চয়ই স্বাধীনতার পাহা জাগানো । 'এই নািতন আদশের উপাসনা’ যাব-আন্দোলনের উদ্দেশ্য এবং আমাদের সেই আদশকে বরণ করিতে হইবে । भानव शठेट्नद्र आक्रम স্বামী বিবেকানন্দ বলিয়াছিলেন : 'মানষ তৈরি আমার ব্রত।” যখন একদল সত্যিকারের মানষ তৈরি হইবে তখন স্বামীজীর মিশন এবং লক্ষ্য রূপায়িত হইবে । ‘সত্যিকারের মানষ তৈরির আদশ” পেলটো তুলিয়া ধরিয়াছিলেন । অতিমানব (সপার ম্যান ) সম্পকিত নীটশের ধারণা মন ও একই সঙ্গে দেহের যাবতীয় বত্তির বিকাশ ও পণতা সাধনাকে লক্ষ্য বলিয়া জানিয়াছিল । ধারণা প্রচলিত আছে যে শ্ৰীঅরবিন্দ জামান দাশ নিকের অনৱপে আদশকে তাঁর লক্ষ্য করিয়া তুলিয়াছেন । এই হইতেছে প্রথম ধাপ- আদশের অন্যাসন্ধান, মানষ তৈরি ব্রত, অতিমানবের সাক্ষাৎ লাভের আকাংক্ষা। মানস গঠনের পরে” কথা উঠেসমাজ ও রাজনীতির ক্ষেত্রে পনগঠনের এবং এজন্য জাতির সামনে একটি নতন আদশ তুলিয়া ধরিতে হইবে । ভাবতেব জীবনের যাবতীয় কমে'র ক্ষেত্রে পানগাঁঠন চাই ৷ স্বাধীনতার আকাংক্ষা- সবাধীন হওযার ইচছা জাতির মধ্যে ' জাগা চাই । জীবনে একটি নািতন বাঁক আনিতেই হইবে। अख्बािप्टपैब्र आँख्लाष জনসাধারণের মধ্যে অভিযাত্রীর ভাব জাগাইয়া তুলিতে হইবে । এমন ভােবই ইংরেজকে ভারতের সন্ধানে বাহির হইতে অনপ্রেরণা জোগাইয়াছিল । আব ܘ ܐ