পাতা:তরুণের আহ্বান - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

55Te G5이 নিখিল ভারত যাব-কংগ্রেসের তৃতীয় অধিবেশনের অভ্যর্থনা সমিতির পক্ষ হইতে আমি আপনাদিগকে সাদরে অভ্যর্থনা করতেছি । এই বৎসর কংগ্রেসের তৃতীয় অধিবেশন । ইহা দ্বারাই বঝো যাইতেছে যে, দেশের যােব-আন্দোলন ধীরে ধীরে নিজের প্রতিষ্ঠা বিস্তার করিতেছে । অনেকে হয়তো মনে করিয়াছিলেন যে, জাতীয় কংগ্রেস ও সব দল মহাসমেলনের সহিত একই সমযে এই কংগ্রেসের অধিবেশন অনষ্ঠিত হওয়ায় ইহার কার্যকারিতা কমিয়া যাইবে । কিন্তু আমার মনে হয়, যােব-কংগ্রেসের প্রয়োজনীয়তাকে কেহই খবা করিতে পরিবে না। আমাদের জীবনযাত্রার পথে অনেক রাজনৈতিক সমস্যা আছে- আমি তাহাদের প্রয়োজনীয়তা কম বলিতেছি না। কিন্তু যািবকদেব নিকট যে সমস্যা উপস্থিত হইয়াছে তাহা আরো গবতের । আমাদের বর্তমান জীবনে যে-সকল গৱতর সমস্যা উপস্থিত হইয়াছে এই কংগ্রেস হইতে নিশ্চয়ই তাহার সমাধানের পন্থা নিদিষ্ট হইবে। যবিকদের দায়িত্ব অত্যন্ত গরতের ; সতরাং এই কংগ্রেসের কাব্য যে বিশেষ ধীরতার সহিত পরিচালিত হইবে তাহা আমি নিঃসন্দেহে বলিতে পারি। সতরাং এরূপ গরতের স্থলে অভ্যর্থনা সমিতির পক্ষ হইতে আপনাদিগকে সম্বাবধােনা করিবার ভার পাইয়া আমি নিজেকে সম্মানিত মনে করিতেছি । দেশ হইতে বাহির হইয়া বিশেবর দিকে চাহিলে প্রত্যেক দেশে একই দশ্য আমাদের দণ্টিপথে পড়িবে এবং তােহা তরণের জাগরণ । উত্তর হইতে দক্ষিণে এবং পাব হইতে “পশ্চিমে, যে দিকেই তাকাই-না কেন সে দিকেই যােবআন্দোলনের প্রধান উৎস কোথায় এবং ইহার চরম উদ্দেশ্যই বা কী তাহা আমাদিগকে বঝিতে হইবে। তরণ তরণেীদের যে-কোনো সমিতিকে যােব-সমিতি আখ্যা দেওয়া চলে না। কোনো সমাজ-সংস্কার সংঘ বা দভিক্ষ-সাহায্য সমিতিকে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যােবসমিতি বলা যায় না । বতমান অবস্থার প্রতি অসন্তোষ এবং তাহার দারীকরণের চেন্টার ফলে যে যােব-সমিতির প্রতিষ্ঠা হয় তাহাকেই বাস্তবিক যােব-সমিতি «98ሃ ̈