পাতা:তরুণের আহ্বান - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সবরমতী চিন্তাধারা সবরমতী হইতে উদ্ভত চিন্তাধারার আন্দোলনের বাস্তবিক উদ্দেশ্য দেশের মধ্যে এইরূপ মনোভাবেব সন্টি করা যে, আধনিক যাহা-কিছ. সব মন্দ, অধিক পরিমাণ কিছর উৎপাদন অত্যন্ত অশািভও" নক, অভাব ও জীবিকানিবাহের মান বাড়ানো উচিত নহে, আমাদিগকে আবাব গো-ব্যানেব খগে ফিরিয়া যাইতে হইবে এবং আধাত্মিক উন্নতির জন্য বায়াম uক্ষা ও সামরিক শিক্ষার প্রতি অবহেলা প্রদর্শন কবিতে হইবে । ਲਜ ਲ পণ্ডিচেরী হইতে উদ্ভত চিন্তাধারার আন্দোলনের বাস্তবিক উদ্দেশ্য দেশের মধ্যে এই রােপ মনোভাবের সন্টি করা যে শান্তভাবে সাধনা অপেক্ষা আর কিছর মহৎ নাই, যোগের অর্থ প্রাণায়াম ও ধান, অনেক সৎকাষ থাকিলেও ঐবােপ যোগ কবা সবাপেক্ষা শ্রেণীঠ । এই আন্দোলনের ফলে অনেকে ইহা ভুলিয়া গিয়াছে যে, নিঃস্বাথ ও একনিষ্ঠ কাব্য দ্বারাই মাত্র বর্তমান অবস্থায় আধ্যাত্মিক উন্নতি সম্ভব । প্রকৃতিকে জয় কবিতে হইলে তাহার সহিত সংগ্রাম করিতে হইবে ; এবং চারিদিক হইতে আমরা যেরূপভাবে বিপদ-জালে জড়িত, তাহাতে সাধনার আশ্রয় গ্রহণ করা একটা দিবলতামাত্র । এই চিন্তাধারার নিস্ক্রিয়তারই আমি প্রতিবাদ করিতেছি । আমাদের এই দেশে যোগী, ঋষি বা আশ্রমের প্রবতনি একটা নািতন ব্যাপার নিহে । আমাদের যোগী ঋষিদের আদর চিরকালই থাকিবে । কিন্তু আমরা যদি ভারতবষীকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করিতে চাই, যদি ভারতকে নাতন করিয়া গঠন করিতে চাই তাহা হইলে তাহদের পন্থায় চলিলে হইবে না । এই সত্য কথা বলতে যাইযা যদি আপনাদের মনে আমি কোনোরীপে আঘাত করিয়া থাকি তাহা হইলে আমাকে মাজ’না করিবেন । ঐ দই চিন্তাধারার মলে যে দার্শনিক ভিত্তি নিহিত রহিয়াছে আমি এখানে উহার আলোচনা করিতেছি না । আমি বাস্তবতার দিক হইতেই উহাদের সম্পবন্ধে মত প্রকাশ করিলাম । আমরা এখন ভারতবষে চাই প্ৰবল কম বাদ । আমাদিগকে ভবিষ্যতের উপেজৰল আদশে অন্যপ্রাণিত হইতে হইবে এবং আধনিক যাগের সহিত মিলমিশ করিয়া বাঁচিতে হইবে । আমরা আর এখন পথিবীর একপ্রাস্তে সর্বতন্ত্রভাবে বাস করিতে পারিব না । যখন ভারতবয স্বাধীন হইবে তখন তাহাকে তাহার আধনিক শত্রর সহিত SO