পাতা:তারকনাথ গ্রন্থাবলী-প্রথম ভাগ.pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৩৮ রামন্থন। অংশ। অতি কম। শ্যামমোহিনীর চক্ষু জলে পূর্ণ হইল, সরোদনে বলিলেন “ক্ত গদীশ্বর ! এ জগতে এ হতভাগিনীম কমল | ব্যতীত অব কেহই নাই । দয়া ময় ! অন্ধেব যষ্টি অামাব সেই সৰ্ব্বস্ব ধনের কি হবে নাথ ? অ’মি যে কেবল কমলার চাদমুখ দেখেই বেঁচে আছি। ছ। দেশী গর, হা সমাজ, তুই আমার কি সৰ্ব্বনাশ কর লি, একজন নিরপরাধী অবলার সকল মুখ নষ্ট । কর লি । ছ। ঈশ্বর ! আমার এ মৰ্ম্মভেদী .ক্রন্দন কি তোমার চরণতল স্পর্শ করবে না ? ' দয়াশূন্ত মায়াশূন্ত অন্ধ সমাজের কি চেতন হবে না ?” রামধন বলিলেন "আর কেঁদনী, এখন আর ত উপায় মাষ্ট । * * শ্যাম । কেন উপায় নাই, ঈশ্বর কৰুন আমার কমলা বাচুগ, কেন । উপায় হবে না । ! রাম । সে কথা বলতে । শ্যাম । এখন এক কাজ কর, কমন্স প্যারীকে দেখতে পাগল হয়েছে, যাতে একবার প্যারীকে দেখতে পায় তা কর, নইলে কমল৷ আমার বঁচিবে না । রাম। উপায় ? শুাম । আমি মেয়ে মানুষ আমি কি উপায় স্থির করব, যাতে ভাল ছয় তাই কর ।

اه ۶۹ بود , *, g ভারকনাথ গ্রন্থাবলী রাম | প্যারী যে কোথায়, তাত জানিন, বাবা অামার কমলাকে কত ভাল বাসত | প্যারী ষে কমলার বি চ্ছেদের দাৰুণ যন্ত্রনা সহ করে এতদিন জীবিত আছে তাহারই ব! স্থির কি ? i শ্যামমোছিমীর বদন শুষ্ক ছইল, বলিলেন “তবে উপায় ? * রামপ্লন'। একটা দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়া বলিলেন ** তাইত | * শ্যাম । দেখ যতদূর পার, কমল যে আমার বঁচি বে সে অাশা ত নাই, দেখ যদি এ সময়েও তাকে কতটা সুখী | করতে পার । রামধন নিস্তব্ধ হইয় রছিলেন । শ্যামমোহিনী বলিলেন “ তবে তুমি ঠাওরাও, আমি কমলার, কাছে যাই । * রাম | তা!চ্ছ। । , শ্যাম । হ্যা অার এক কথা, অমিদের ছরিদাসী আর ভগবতীকে তামৃতে লোক পাঠাও । রাম । সে বেশি কথা নয় | শ্যামমোহিনী প্রস্থান করিলেন, রামধন বিমৰ্ষভাবে অনেকক্ষণ কি চিন্ত৷ করিলেন, পরে একটা দীঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়া মনে মনে বলিলেন “ ছায় আমি কি মুখ আমি সামাজের ভয়ে আমার ইহ জন্মের সকল সুখই মষ্ট করিলাম । যদি কমলাইষ-গঞ্জ বাচে