ই ৫২ তারকনাথ গ্রন্থাবলী তবে ত স্তরণী ও মানব জীবনে কার্ষ্যের কথা বলিতে হুইবে , তোমার তুলনীয় কিছুই নাই । তরণী ভাঙ্গিলে শাস্ত্রীর স্বজন পিতা পিতামহ প্রভৃতি বা ডুবিলে উরণীর মুখ্য উদেশ্য ফুরায়, রাহার তোমার ফেলিয়া গিয়াছেন, কিন্তু মানৰ সম্বন্ধে ত তাহা নন্তে । এই তখন র্তাহারা হয়ত তথায় তোমার সহিত নশ্বর অবনীতে মানব জীবন শেষ হইলে ত মিলিত হইবেন, তুমি কি বলিবে ভাই ? তাহার জীবনের উদেশু শেষ হয় না। যখন কেহ জিজ্ঞাসা করিবেন-জুমি তাহার অস্ত উদ্দেশু আছে,—সে উদেশু তোমার কত উপকার করিয়াছি, শেষে হয়ত সেই পরম ‘পিতা, সেই সৰ্ব্বস্তুখ আমার মৃত্যুর পর আমার সন্তান সস্ততির হুঃখ নিয়ন্তা, জলজ, বিধাতাৰ নিকট শুনিষ্টই করিতে হয় ? কে কহিতোমার সকল সুখ দুঃখের ও সকল, কাৰ্য্য ! বেন-আমি তোমার হস্তে সমস্ত বিশ্বাস কারিতার হিসাব দিতে হইবে । হায় সমৰ্পন করিয়া পরলোকে আসিযজীবনে কি করিলাম, জাহার নিদ্র বৃথা ছিলাম, কিন্তু এইরূপ সৰ্ব্বনাশ কি কৱিন্তে সুখে মন্ত রছিয়া দিন কাটাইলাম। হয় ? তখন তোমার সেই দিব্যজ্ঞানে কি কেন সংসারে আসিয়াছি, জীবন কেন, বলিবে ভাই ? শক্ত সহস্ৰ নরক কুও, তাহ জানি না,—ম্ভবে কি করিয়া জবাব অগ্নি কুও অপেক্ষ কি ইহা ভয়ানক দিব ? কত দাম্ভিক ছাচার মহাপাপী নহে? তাছার পর আবার শাস্তির নরর্ফ সামান্ত অর্থ লোভে পরের সর্বাস্থাপহরণ [ཨtts f কি ভয়ানাক কথা ! মানব তথাপি করিতে অকুfষ্ঠত, কিন্তু জি জ্ঞাসা করি কি তোমার জীবনের উদ্দেশ্য নাই ? সেখানে কি জবাব দিবে ? সম্ভব ? যখন বৃহৎ হইতে অতি অপহরণ করিলে, সুখে হউক দুঃখে উৎসা বস্তু পর্যন্ত স্বল্প হইবার উদেখা তাহার ত দিন কাটিড়েছে, কিন্তু তুমি ; জাছে, তখন মানব জীবনের উদপ্ত মুখী কই ? একবার চক্ষু বুজিলে এ নাই, ইহা কি বিশ্বাসা ? উস্তু এৰ মানব সাধের হাট বাজাৰ, তোমার সাধের ভূমি প্রকৃত প্রস্তাবে মহাকাল সাগৰে বস্তু, সকল কোথায় থাকিবে । তখন তুমি ক্ষদ্র তরণী নহ, সামান্ত ভরণীপ সহিঙ কি ভাহাদিগকে রক্ষা করিক্তে আসিবে তোমার তুলনা করিতে গিষণ অামার আর এমন কখন মনে করিও না যে অস্তায় হইয়াছিল, আমার মতিভ্রম হইয়। তোমার সকল দিন সমান যাইবে ! ছিল,—জামার ক্ষমা কর! ষে দিন দোর নিদ্ৰা আসিবে, যে দিন আসন্ন ভাবে আসন্নকালে মহ নিদ্রায় অবিভূত হইবে, তখন আর কে তোমার ? সেই সৰ্ব্বজ্যোতিঃসম্পন্ন সৰ্ব্ব গুণনিধান জগতজীবনের নিকট তোমার !
