পাতা:তারকনাথ গ্রন্থাবলী-প্রথম ভাগ.pdf/৩৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| ७१8 তারকনাথ গ্রন্থাবলী | | কমলা চমকিয়া উঠিল, হৃদয় দুর জ্বর করিতে লাগিল, খঞ্জনীতে মৃছ আঘাত করিয়া কহিল "ভিখারিণী” | প্রহরী আর কোন কথা কহিল না, | কমলা পুনৰ্ব্বার চলিল। পথিমধ্যে অনেক প্রহরীই জিজ্ঞাসা করিল বটে, | কিন্তু কেহ পথ রোধ করিল না । কমলা ক্রমে একটা বৃক্ষ বিশেষ দেখিতে পাইল। নিকটে আসিয়া দেখিল বটবৃক্ষই বটে। | তখন কমলার মনে সন্দেহ জন্মিল যে এই বটবৃক্ষ সরমা কথিত বটবৃক্ষ কি না । ফমলার হৃদষে ভয়ের উদ্রেক "হইল, মনে মনে বলিল “আমার আবার ভয | কি ? যে বিপদে পতিত হইয়া ছিলাম, তাহ অপেক্ষ অধিক বিপদ আর | কোথায় আছে ?” কমলা সে চিস্ত দুর করিয়া আবার ভাবিল “সরম বলিয়াইে } ষে সে বিজয় সিংহ ও দাদাকে কারামুক্ত কবিয়াছে।” কমলার চক্ষে জল আসিল, চক্ষের জল মুছিয়। আবার ভাবিতে }লাগিল “আজিকার যুদ্ধে হয় ত বিজয় সিংহ আসেন নাই । সরমা বলিয়াছে বটবৃক্ষ তলে একটি লোককে দেখিতে পাইব । সে লোকটী:কে ? হয়ভ বিজয় সিংহই সেই লোক’ কমলার চক্ষে জল আসিল, বলিল “বিধাতা কি এত সুখ ' কমলার ললাটে লিখিবেন ।” কমলা ধীরে ধীরে খঞ্জনীতে তিনবার অঙ্গুলি প্রহার করিল, অনতিবিলম্বেই কাহার পদ শব্দ শুনা গেল। কমলার হৃদয় দ্বর হর করিতে লাগিল। অপরি চিত ব্যক্তি কমলার নিকটে আসিয়া কহিল “মা ! আমার সঙ্গে আমুন, কোন ভয় নাই।” কমলার বিজয়ের দর্শন লালসা তিরোধান করিল। নদী বক্ষে একটি তরঙ্গ উখিত হইয়া, তাহা মিশাইতে না মিশাইতে আবার নব তরঙ্গ সমুখিত, হয়, তেমনি মানব হৃদয়েও একটি আশা অম্ভহিত হইতে ন হইতে আবার * একটি সব আশায় হৃদয় আবরিত হয় } আশার নিস্ফলতার যাতনা আশাই যত্ন সহকারে বিমোচন করে । কমলার বৃক্ষতলে বিজয় সিংহের দৃষ্টিলাভ লালসা অন্তৰ্হিত হইল বটে, কিন্তু আশা গেল না । ভাবিল বুঝি এই ব্যক্তি আমায় বিজয়-সিংহের নিকট লইয়া যাইতেছে। রাত্রি এই কুটিরে অবস্থিতি করুন।” হইৰে ?” * “আপাততঃ বটে।” : - “তুমি কোথায় যাইবে ?” “নিকটেই থাকিব, যখন অবিশুক হইব | py দেবতাদের চরণে কত বিনতি করিল | যাহাতে বিজয় সিংহের সহিত সাক্ষাৎ | হয। উভয়ে সেই নিশীথ সময়ে অনেক । দূর গেল ? ক্রমে একটি কুটিরের সম্মুখিন | হইয়া সেই অপরিচিত ব্যক্তি কহিল"অদ্য | হইবে খঞ্জনীতে তিনবার অঙ্গুলি গ্রহার করিবেন, তাহ হইলেই আমি উপস্থিত | এই বলিয়া কুটীরের দ্বার খুলিয়া “আমায় কি একাকিনী থাকিতে |