পাতা:তারকনাথ গ্রন্থাবলী-প্রথম ভাগ.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮৩ ছইলে, আর আমি কাহাকে ভয় করি, কোন সুখাভিলাষে দুঃখিত ছই ? তোমাকে বক্ষেধারণ করিয়া যদ্যষ্টিt অনছরে দিনযাপন করি, তাছাতে আমার যে সুখ সে সুখ আর কোথাও নাই । সুহাসিনি ! এই কয় বৎসর অবিরত কেবল যোগাসনে তোমারই ধ্যানে মগ্ন ছিলাম, বলিতে কি তুমি আমার উপাস্যদেবী,—আজি সদয় হইয়। আবার কেন নিরদয় হওঁ ? কেন অঙ্গর প্রাণ ভাঙ্গ, কেন আমার জীবন নাশে উদ্যত হও? ” সুহাসিনী বিপিনের চক্ষু মুছাইয় দিয়া নীরবে কঁদিতে লাগিল । কোন কথারই উত্তর দিতে পারিল না । ৰিপিন পুনৰ্ব্বার মুহাসিনীর মুখচুম্বন করিয়া কছিলেন “ প্রগণাধিকে ! সুচ্ছসিনি ! বল,—আমার প্রাণে প্রাণ দাও ? * তারকনাথ গ্রন্থাবলী সুহাসিনী তাছার কোন উত্তর মা দিয়া পুনরপি কঁদিতে লাগিল । এমত সময়ে দাসী ও নীরজ পুনৰ্ব্বার তথায় আসিল । “সখি ! এই দেখ, নীরজ বিবি অামায় উৎকোচ দিয়াছেন। ” এই বলিয়। দাসী সুহাসিনীকে সুবর্ণ তাবিজ প্রদর্শন করিল। বিপিন বলিলেন * কিসের উৎকোচ ? * দাসী। মুহাসিনীকে অসতী বলিতে । সুহাসিনী অবাক ছইল, -বিপিন একটা দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিলেন। এমত সমলে দাসী সবিস্ময়ে বলিল “ঐ যে নবাব সাহেব এদিকে অসিতেছেন ? সুহাসিনী চমকিয় উঠিল, দেখিল প্রকৃতই “ শিরাজউদৌল৷ ৷ ” বিপিন উঠিয় দাড়াইলেন, সুহাসিনী অবগুণ্ঠন দিয়া বসিল । iনত্রিংশ পরিচ্ছেদ সুখের উষ । নবাব শিরাজউদৌল আসিলেন, যে ব্যক্তি সুকোমল কুসুমমিব সুকুমার শয্যায় শায়িত হুইয়াও ক্লেশ বোধ করিত, আজি সেই ব্যক্তি কণ্টকাকীর্ণ পথে পদব্রজে পরিভ্রমণ করি তেছে। যে সতত সুকুমার রেশমী পরিধেয় সত্বেও তাছার গুৰুভার মনে করিত, আজি, আবার সেই ব্যক্তি ফকিরের বেশ পরিধান করিয়াছে । এখন আর শিরাজের লে হাসি নাই,