সৈন্য দলের সমভিব্যাহারিণী হইয়াছিলেন। তিনি তাহাদের সহিত এমনি নিপুণতা সহকারে যুদ্ধ করিয়াছিলেন যে, তাহার তখনকার মূর্ত্তি দেখিলে কাহার না মনে বীররসের উদয় হইত? তাঁহার সেই মোহিনী মূর্ত্তিতে বীর বেশ কি অপূর্ব্ব শোভাই ধারণ করিয়াছিল! তিনি যখন যুদ্ধ করিতেন, তখন তাঁহার নিকট অগ্রসর হইতে পারে কাহার সাধ্য! এক দিন তারা যুদ্ধে গমন করিতেছেন, কতকদূর যাইয়া দেখিলেন অতি সমারোহে কোন রাজা আসিতেছেন। তাহার পর অনুসন্ধান করিয়া জানিতে পারিলেন যে, তিনি মিওয়ারের অধিপতি রায়মলের কনিষ্ঠ পুত্র জয়মল। জয়মল আসিতেছেন জানিয়া তিনি প্রথমে কিছু ভীত হইলেন। কারণ তাহার মনে হইল যে, আবার কোন দুরাত্মা যুদ্ধ করিতে আসিতেছে। কিন্তু তাহার মনের এই ভাবটী কেবল বিদ্যুতের ন্যায় ক্ষণমাত্র স্থায়ী হইয়াছিল। তিনি তৎক্ষণাৎ ধীর ভাবে নিঃশঙ্ক হৃদয়ে ক্রমশঃ অগ্রসর হইতে লাগিলেন। তাঁহার আকর্ণ লোচন প্রফুল্ল হইতে লাগিল, বাহুযুগল ক্রমশঃ বিষ্ফারিত হইল, হৃদয় আহলাদে নৃত্য করিতে লাগিল। যুবরাজ জয়মল দূর হইতে তারার অপূর্ব্ব রূপরাশির সহিত বীরবেশ দেখিয়া বিস্মিত ও বিমুগ্ধ হইয়া পড়িলেন। নিকটে আসিয়া দেখিলেন যে এক অসামান্য রমণীকুলরত্ন অশ্বে বিহার করিতেছেন। দেখিবামাত্র তারার সেই ভাব তাঁহার হৃদয় পটে অঙ্কিত হইল। জয়মল মনে মনে বিধাতাকে এই ৰলিয়া শত শত ধন্যবাদ ও প্রশংসা করিলেন যে, এরূপ
পাতা:তারাচরিত.pdf/১৬
অবয়ব
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তারাচরিত।
৫