করছে খুব চমৎকার।”
“চৌধুরীমশায়, ওর বিপদ হচ্ছে সায়ান্সে ও যত বড়ো ওস্তাদই হোক, তুমি যাকে মেট্রিয়ার্কি বলে সে রাজ্যের ও ঘোর আনাড়ি।”
“সে কথা ঠিক। ওর একবারও টিকে দেওয়া হয় নি। ছোঁয়াচ লাগলে বাঁচানো শক্ত হবে।”
“রোজ একবার কিন্তু ওকে আপনার দেখে যেতে হবে।”
“কোথা থেকে ও আবার ছোঁয়াচ না নিয়ে আসে। শেষকালে এ বয়সে আমি না মরি। ভয় কোরো না, মেয়েমানুষ যদিও, তবুও আশা করি ঠাট্টা বুঝতে পারে। আমি পার হয়ে গেছি এপিডেমিকের পাড়াটা। এখন ছোঁওয়া লাগলেও ছোঁয়াচ লাগে না। কিন্তু একটা মুশকিল ঘটেছে। পরশু আমাকে যেতে হবে গুজরানওয়ালায়।”
“এটাও ঠাট্টা নাকি। মেয়েমানুষকে দয়া করবেন।”
“ঠাট্টা নয়, আমার সতীর্থ অমূল্য আড্ডি ছিলেন, সেখানকার ডাক্তার। বিশপঁচিশ বছর প্র্যাকটিস করেছেন। কিছু বিষয়সম্পত্তিও জমিয়েছেন। হঠাৎ বিধবা স্ত্রী আর ছেলে-মেয়ে রেখে মরেছেন হার্টফেল করে। দেনা-পাওনা চুকিয়ে জমিজমা বেচে তাদের উদ্ধার করে আনতে হবে আমাকে। কতদিন লাগবে ঠিক জানি নে।”
“এর উপরে আর কথা নেই।”
“এ সংসারে কথা কিছুরই উপরে নেই সোহিনী। নির্ভয়ে বলো, যা হবেই তা হোক। যারা অদৃষ্ট মানে তারা ভুল করে না। আমরা সায়াণ্টিস্টরাও বলি অনিবার্যের একচুল এদিক-ওদিক হবার জো নেই। যতক্ষণ কিছু করবার থাকে করে, যখন কোনোমতেই পারবে না, বোলো বাস্।”
“আচ্ছা তাই ভালো।”
“যে মজুমদারটির কথা বললুম, দলের মধ্যে সে তত বেশি মারাত্মক নয়। তাকে ওরা দলে টেনে রাখে মান বাঁচাবার জন্যে। আর-যাদের কথা শুনেছি, চাণক্যের মতে তাদের কাছ থেকে শত