পাতা:তুরকীয় ইতিহাস.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তুরকীয় ইতিহাস । ইতমধ্যে সেই স্থানে করিল শ্রৰণ । জনেক পণ্ডিত অতি করিছে ক্রমদন | দুই খণ্ড প্রস্তর লইয়া দুই করে । প্রহার করছে আপনার বক্ষোপরে } এই কথা পুনঃ পুনঃ করে উচ্চারণ। হোরালেম সব মম উপাঞ্জিত ধন | পরিশ্রম লব্ধ মম সম্প্রদ সমস্ত । সকলি আছিল এক থোলের মধ্যস্থ } ওহে ভ্রাতাগণ গুন মম নিবেদন । যদি কেহ পেয়ে থাক তামার সে ধন | পুনঃ তাই মম প্রতি করিয়া অৰ্পণ । ঈশ্বরের প্রিযুকাৰ্য্য করহ সাধন ; ঈশ্বর শপথ আমি সত্য করি এষ্ট । যে দিবে আমারে অৰ্দ্ধ অংশপাবে সেই” নিরাশে বিষাদে খেদে হয়ে ক্ষুণ্ণ মন । এই রূপ বলে অার করয়ে ক্রমদন | তাহার কাতর উল্লি করি যুা শ্রবণ । অষ্টল কবণ পূর্ণ তাপ-যাত্ৰীগণ ॥ বিশেষতঃ নৃপসুত মালিক নাজীর । তাহার কারণে অতি হইল অস্তির } হইয়ু করুণাপূর্ণ নরেশনন্দন । তাপনার মনে মনে করিল চি মুন | মেদি এক্ট থোলে অামি না করি আপণ পরিবার সহ হবে ইয়ার নিধন । তন্যে দুঃখ দিয়া নির্জ মুখের চিন্তন | করা যোগ্য নহে কন্তু সাধুর লক্ষণ | যদি গামি রাজসুত না হয়ে কখন । হইতাম তাতি দীন নর অভাক্তন | তথাচ উচিত মম না হয় এমন । অন্যায়েত পর ধন করিতে গ্রহণ ॥ এতেক চিন্তিয় পরে মহীপনন্দন । পণ্ডিতের সেই থোলে দেখায় তখন | বলিলেন” এই কি তোমার সারা ধন | স্বৰূপ সবার কাছে করহ জ্ঞাপন” { পণ্ডিত দেখিয়া থোলে হয়ে হরষিত । নৃপঞ্জের কর হতে লইল ত্বরিত | ব্য গ্লতা দেখিয়া তার মালিল-লাঞ্জীর । বলিল পণ্ডিত প্রতি বচন গভীর }

  • { }

এতেক উতলা কেন ওহে মহাশয় । জেনেছ কি তব ধন গিয়াছে নিশ্চয় ॥ আর কি বচন তুমি করনি স্বীকার । যে দিবে তাহারে দিবে অৰ্দ্ধেক ইহার" | একথা শ্রবণে বুধ কবি ল উত্তর } অপরাধ ক্ষম মম ওহে গুণাকর? ] অধিক অtহনাদে তামি হইয়ু বিলিত । তব প্রতি ব্যবহার করি অনুচিত | অনুগ্রহ করি এস সংহতি তামার । অবশ্য পালিব আমি মম অঙ্গীকার" | এতবলি মালিক-না জীরে সে টঙ্কণ । আপন বাসায় বুধ লইল তখন ! খুলিয়া থোলের বদ্ধ করিয়া চুম্বন । মেদের উপরে তাহা করিল স্থাপন । (মালিক-নাঙ্গীর ভেবেছিলেন আ স্তরে । থাকিবে কিঞ্চিৎ স্বর্ণ থোলের ভিতরে । আশ্চর্ষ্য হইল অতি করিয়া দশন । থোলের ভিতরে অাছে লিলিপ রতন | চুনি পান্না মরকত হীরক প্রচুর। অমুল্য দুষ্পাপ্য মণি তমোকরে দূর ॥ তদস্তুর ধীর বর লয়ে রত্নগণ । সমভাগ করি তাহা করিল স্থাপন | নৃপতি নন্দনে করি প্রিয় সঙ্গো ধন । বলে “ এই দুই ভাগ তোমারি এখন } কিন্তু তুমি তুই ভাগ করিলে গ্রহণ । | তামার অন্তরে দুঃখ কষ্টবে এখন I যদি তুমি এক ভাগে ও হরমিত । আমার অস্তুরে দুঃখ না হবে কিঞ্চি " | মালিক লাঞ্জীর একে রাজার শুনয় । বুদ্ধিমান সুবিনীত সরল-হাদয় । পীর প্রতি উত্তর করিল সেইক্ষণ । তব দেয় এক ভাগ করিব গ্রহণ } নৃপজের সততায় হয়ে হরমিত । পণ্ডিত ককিল আশীৰ্ব্বচন সহিত | ঈশ্বর করুন তব মঙ্গল লিধান । কুশলে থাকক তুমি পুরুষ প্রধান | তব সম মানব না দেখি কতু তার } এমন জনেতে শোভে পুথিবীর ভর || এখন মন্তব্য কিবা বলতু তোমার ! গুচে যাবে কিস্থা যাবে সঙ্গেতে আমার !