পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভগ্নী-জামাই আশ্রিত তরুণকে দিয়েই অগত্যা গাড়ী পাঠাতে হয়। তরুণকে গাড়ী চালাতে দিতে ভয় করে। স্পিন্ডের দিকে ওর এমন বিশ্ৰী রকম ঝোক যে কবে কখন সৰ্ব্বনাশ ঘটিয়ে বসে ভাবলেই হৃৎকম্প হয় । ভোর রাত্রে পাহাড়ী উচুনীচু রাস্তায় সে কী স্পিডে গাড়ী চালিয়ে জগদীশের আশ্রম ঘুরে ফিরে আসে, অনায়াসে টের পাওয়া যায় শুধু তার যাতায়াতের সময়ের হিসাব কষে। " যাই হোক, অক্ষত গাড়ীটা নিয়ে জীবন্ত মানুষটা যে ফিরেছে তাই ঢের । কিন্তু ব্যাপার কি ? খবর কি ? আশ্রমে পৌছে তরুণ শুনতে পায় এই জল-বাদলার শীতের মধ্যে রাত তিনটেীয় জগদীশ গরুর গাড়ীতে সহরে রওনা হয়েছে! ফিরবার পথে তরুণ নাগাল ধরেছিল গরুর গাড়ীটার। গাড়ী থামিয়ে জগদীশকে বলেছিল, এখনো তো আদেক রাস্তা বাকী। আমার গাড়ীতে নেমে আসুন, চটপট পৌছে যাবেন। ছই-এর নীচে খড়ের বিছানায় আধ-শোয়া জগদীশ মাথা তুলেও তাকায়নি । : বেশ যাচ্ছি ঢাকাস ঢাকাস করে। ঠিক সময়ে পৌছে যাব। সকলকে গরম জামা চাদর বার করতে হয়েছে, গায়ে চাপাতে হয়েছে অকাল বর্ষার অস্বাভাবিক শীতে । জগদীশ গরুর গাড়ী থেকে নামে খালি গায়ে আলগা একটা পাতলা সুতির চাদর জড়িয়ে । S e ዓ