পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেই মাধুৰ্য্যের খোজ মেলে এমনি এক নির্জন, নিঃশব্দ, সভ্যতার বাঁধন খসানো অখ্যাতনামা গ্রামে পাতার কুটিরে ছেলেবেলার বন্ধুর পাশে বসে। যতদূর দৃষ্টি চলে,-অনন্ত বৃক্ষশ্রেণী। সবুজ আর সবুজ। সেই সবুজ গাঢ় হ’তে হ’তে সবুজের সীমা ছাড়িয়ে ধীরে ধীরে কালো হয়ে ওঠে। জগদীশ হঠাৎ বলে, সহরে ফিরে যাবি ত ? এই চব্বিশ মাইল ফিরে যাব ? কিন্তু এখানে কি রাত কাটাতে পারবি ভাই, ভারি কষ্ট হবে ? বল্লাম, তুই যদি এতকাল এখানে কাটাতে পেরে থাকিস, একটা রাত কাটাবার ক্ষমতা আমার হবে । জগদীশ একটু ভেবে বল্লে, আমায় কিন্তু জিরাই-এর মেয়ে রোধে দিয়ে যায়, খাবি তো ? তুই খাস, আমি খাব না ? জগদীশের সঙ্কোচ তবু গেল না, ইতস্ততঃ করে বল্লে, বিছানা নেই, কিছু নেইবাধা দিয়ে বললাম, নেই তো নেই! এই চাটাইয়ে পাশাপাশি শুয়ে দুই বন্ধুতে গল্প করেই রাত কাটিয়ে দেব। খানিক পরে জিরাই-এর মেয়ে হাজির হ’ল। অ্যাট সাট গড়ন, বিধাতা গায়ের রঙের দোষ পুষিয়েছেন অতিরিক্ত যৌবন দিয়ে। সরামকুষ্ঠিত পদে জল আনতে চলে গেল। জল এনে মসলা বেটে ভাতের হাড়ি চাপিয়ে অস্ফুটস্বরে কি বলল, বুঝতেই °द्रव्जभ का । Y)