পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডেক-এ বাতাসে বেড়ালে মাথা ধরাটা-হাতের রুমালের কথা ভুলে গিয়ে চিত্ৰা দুহাতে শাড়ীর আঁচলটা মুখে গুজে দিল। তার মুখ আরক্ত হয়ে উঠল। বুঝলাম। বললাম, শীগগির আসুন আমার কেবিনে । বলে অগ্রসর হতেই চিত্ৰা আমার একটা হাত এক হাতে চেপে ধরল। পাকস্থলীর যে জিনিষগুলি বাইরে আসবার জন্যে ঠেলাঠেলি লাগিয়েছিল, তাদের দমন করে রাখতেই তার সবটুকু শক্তি ব্যয় হচ্ছে বুঝে আমি চিত্রার বাহুমূল ধরে নিয়ে চললাম। চিত্রাদের কেবিন জাহাজের শেষ প্ৰান্তে ; একটু দূরে !! আমার কেবিন কাছেই, দরজা ঠেলে ভেতরে আসতেই চিত্রা মেঝেতে বসে পড়ল। এতক্ষণ প্ৰাণপণ চেষ্টায় দমন করে ছিল, আর পারল না। মুখে চোখে জল দিয়ে রুমাল দিয়ে মুখ মুছিয়ে হাত ধ’রে তুলে আমার বিছানায় শুইয়ে দিলাম। চিত্রা তখন থর থর ক’রে কঁপিছে । একটু সুস্থ হয়ে মাথা তুলে মেঝের দিকে চেয়ে চিত্রা বল্ল, ছিা! ছি! কি করলাম ! মেঝেটিা নোংরা হয়ে গেল । বল্লাম, কুষ্ঠিত হবেন না মিস সেন, ধুয়ে দিলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। মেথরকে ডেকে দিতে বলে দিয়েছি। আর একটু নেবু খাবেন ? চিত্র ঘাড় নাড়ল। উত্তেজনায় তখনো তার দু'চোখ জলে পরিপূর্ণ, আঁচল দিয়ে চােখ মুছে বল্লে, আপনার কেবিনটা যদি \ՉS9