পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিত্রার সম্মুখে দাড়িয়ে মুখ ফুটে একটি কথাও উচ্চারণ করতে পারব। কিনা সন্দেহ হল। শেষ চিঠিখানা জোর ক’রে খামে ভরে ফেললাম। মুহুর্তের উত্তেজনা, নিমেষের ভুল ওই সব লিখতে লজ্জা বোধ হল । নিজের ব্যবহারের জন্য ক্ষমা চেয়ে তাকে জীবনসঙ্গিনীরূপে পাবার আশা জানিয়ে, সারা জীবন যে আমি এই চিঠির জবাবের প্রতীক্ষা করব। এই কথা লিখে শেষ করলাম। কত কি লিখবার দুর্দমনীয় ইচ্ছা জাগছিল ! মনে মনে বললাম, ভালই যদি বাসে আমার অকথিত বাণী তার মনের দুয়ারে পৌছবে, মুখ ফুটে বলার প্রয়োজন হবে না। সে চিঠি তাকে দেওয়া হয় নি। এই পাষাণভরা নদীগর্ভে সে চিঠি হারিয়েছে। তার প্রত্যেকটি কথা, প্ৰত্যেকটি অক্ষর যে এখনো কেঁদে বেড়াচ্ছে, এখানে এলেই আমি স্পষ্ট অনুভব করি । জগদীশ থেমে গেল। তার চোখে জল নেই, কিন্তু মনে হল, তার চোখের অন্তরালে অনলকণা আর অশ্রদ্ধারা এক সঙ্গে বর্ষিত হচ্ছে। প্ৰায় দশমিনিট নিঃশব্দ থেকে জগদীশ আবার সুরু করল। রাচি ফিরলাম। ষ্টেশন থেকে সোজা চিত্রাদের বাড়ী গেলাম । কেউ বাড়ীতে নেই। চাকর জানাল, সকলে হুড়া গেছে। হুড়, রওনা হলাম। চিত্রার পায়ে ব্যথা, এই কদিনে কমলেও হয়ত সে ঢালু পাহাড়ের গা বেয়ে প্রপাতের নীচে নামতে Šტა