পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের দিকে জগদীশের কণ্ঠ ক্ৰমেই বিকৃত এবং অস্পষ্ট হয়ে উঠছিল ; হঠাৎ সে সেই পাথরের ওপরেই ঢলে পড়ল। মুখের দিকে চেয়েই বুঝলাম সে মূচ্ছিত হয়ে পড়েছে। আর একটি কথা বললেই এ কাহিনী শেষ হয়। চিত্র জগদীশকে ভালবাসত । আমার পাঠক বিশেষতঃ পাঠিকারা, প্রশ্ন করবেন, কি করে জানলে ? সেই জলধি রায়। জগদীশের মুখ থেকে তার জীবনের এই শোচনীয় কাহিনী শোনার প্রায় পাঁচ বছর পরে জলধির সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। কি সূত্রে পরিচয় হয়েছিল, বলবার প্ৰয়োজন নেই । জলধি চিত্রাৰেক ভালবাসত ; যেদিন সে তার মনের কথা চিত্রাকে জানায়, চিত্রা ব্যথিত হয়ে তাকে জগদীশের কথা বলেছিল । ক্ষণিকের দুর্বলতায় জলধি জগদীশের যুরোপ প্ৰবাসকালের উচ্ছঙ্খলতার কথা জানাতে চিত্রা বলেছিল, সে আমি জানি জলধিবাবু। এ জীবনে আমাদের মিলন সম্ভব হবে কিনা ঈশ্বর জানেন। সত্য ভালবাসা যদি তার বুকে জাগে ধরা দেব । আর যদি আমার রূপটাই তার কাম্য হয়ে আমার ভালবাসার অপমান করে তো তার সেই কামনা আমি কোনদিনই মেটাব না । VV)