পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিন্তু জগদীশের ব্যাপার রেবা জানে। জগদীশের জরুরী। আহবানে এক বেরিয়ে পড়তে চাইলে ওরা কিছু মনে করতে পারবে না । সেভিংশ ব্যাঙ্কে জমানো সামান্য কটা টাকা তুলেছে টের পেয়েই কী কাণ্ড রেবা জুড়েছিল ! ঃ দেখিন খেয়ে । তুই তিন চার রকম মিশিয়ে খাচ্ছিাস, তোর সয়ে যায়, কাজে লাগে, আমি কি মানুষ নাই ? দেখিনা এক রকম খেয়ে কি হয়। মারি তো নয়। মরবি ! বিলাতী বোতল থেকে নিজেই মদ ঢেলেছিল গেলাসে । জীবনে কখনো মদ খায়নি, তামাক সিগারেট টানে নি । সন্দি হলে দু এক টিপ নস্য নিয়েছে। জগদীশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে এক চুমুকে সে গেলাসের মদটা গিলে ফেলে । গিলতে কষ্ট হয়। গেলার পরেও এমন ভয়ানক কষ্ট হয় যে তার চিরদিনের আয়ত্ত করা রাগ পৰ্যন্ত যেন বিগড়ে যেতে চায় । জগদীশের গালে একটা চড় কষিয়ে দিতে ইচ্ছা হয় ! জগদীশের অভ্যস্ত নেশার মর্ম বুঝতে খাবি খেতে খেতে বিলাতী। বোতলের নেশাটুকু শুধু খানিকটা দুঃসাহসী পাল্লা দেবার বাহাদুরী দেখাতে গিলে ; ফেলে প্ৰবোধ দু’চার মিনিটের জন্য চুপ হয়ে যায়। মাথা ঘুরতে আরম্ভ করলে চুপ না হয়ে উপায় কি ! জগদীশ বলে, ভাই, বেঁচে থাকার কোন মানে নেই। তুই Vðd