পাতা:তেইশ বছর আগে পরে.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি মারা গেলে সাথে সাথে চুরমার তো হয়ে যাবেই। উপায় নেই বলে আমার খাতিরে কোনমতে একসাথে আছে। কী অশান্তি, ওরে বাবা, আমার কী অশান্তি ! কপাল চাপড়াতে গিয়ে প্ৰতাপ ভোরে কেটে আসা কপালের চন্দনের দাগগুলিতে ভাঙ্গন ধরিয়ে দেয় । ঃঃ টানতে আর পারিনে বাবা । আছে তো মোটে তিনশো। বিঘে জমি, গোটা চারেক বাড়ী আর আশী নব্বই হাজার নগদ টাকা । কারবারটা টানাছ বলে কোন মতে ঠেকিয়ে যাচ্ছি। রোজগেরে ছেলেগুলো পৰ্য্যন্ত ছিনে জোকের মত সেটে রয়েছে-ভাগটা না মারা যায়। কী অশান্তি, কী অশান্তি ! মুখ ফিরিয়ে একবার সে তাকিয়ে নেয় তার বিরাট বংশের যে মস্ত অংশটা আজ এখানে উপস্থিত আছে । : কোটিপতির ছেলে তুমি, পার্থিব সুখ ছেড়ে যোগী সন্ন্যাসী হয়েছ। তোমার বাবাও ছিলেন মহাপুরুষ, কত হাজার টাকা আমায় পাইয়ে দিয়েছিলেন ঠিক ঠিকানা নেই। দেশ বিদেশের জ্ঞান কুড়িয়ে এই বয়সে সংসার ছেড়ে সাধক হয়েছ। আমার অশান্তি কিসে ঘোচে আমায় বলে দিতে হবে বাবা ! তবু জগদীশ মুখ খোলে না, তেমনি নির্বিকার শান্ত দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে। গিনিটা প্ৰতাপের হাতে ধরা ছিল, হাত বাড়িয়ে সেটা সে জগদীশের সামনে মাটিতে রাখে। এবার জগদীশ মুখ খোলে। 76