পাতা:ত্রিযামা - প্রচার পুস্তিকা (১৯৫৬).pdf/৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

________________

আনন্দ সদনেরই সংসারের আজ আপনজন হয়ে গিয়েছে। দশ বছর ধ'রে নানা প্রয়ােজনে, যেন এক কাজের দায়ে। কিন্তু শুধুই কি কাজের দায়ে? বিজয়বাবু এবং মিত্রা দেবীও জানেন, মনের দায়েও বটে। স্বরূপা। ভালবাসে কুশলকে, যদিও স্বরূপ কোনদিন সে কথা কুশলকে বলে নি। ভালবেসেই সুখী হয়ে আছে স্বরূপ। নবলাকে বিঘ্নে করতে চায় কুশল, প্রস্তাব শুনে খুসি হলেন না বিজয়বাবু আর মিত্র। দেবী। যে স্বরূপ। হাতের কাছে এক গেলাস জল এগিয়ে না দিলে জল খেতেই ভুলে যায় কুশল, সেই মেয়েকে জীবনে চিরকালের আপন করে নিবার কথা মনে হয় না। কুশলের, এও কি সম্ভব? কুশলের বিস্ময়টাও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। স্বরূপার মত অতি সাধারণ একটা মেয়েকে কুশলের মত উচ্চাশা, সুশিক্ষা আর উন্নতরুচির মা নুধ বিয়ে করবে, বিজষবাবু আর মিত্রাদেবীর এই অদ্ভুত বিশ্বাসটাই যেন কুশলকে অপমানে আহত করে। মানে স্বরূপা নামে এ দরিদ্রের মেয়ে আজ অধিকারের মাত্রা ভুলে গিয়ে কুশলের জীবনের স্বপ্ন নবপাকে মিথ্যে করে দেবার ষড়যন্ত্র করেছে।। প্রত্যাখ্যাত হয়ে আনন্দ সদন হতে সেই যে চলে এল স্বরূপ, তারপর থেকে সে বাড়াতে। ফিরে যাবার কথা কোনদিন ভাবেনি। কিন্তু ভেবেছে কুশলেরই কথা ; নবলাকে ভালবেসে | সুখী হয়েছে তাে কুশল ? তার জীবনের সুখ, দুঃখ, সম্মান আর গৌরব অটুট হয়ে আছে তাে? স্বরূপার জীবনে শুধু এই প্রশ্ন ছাড়া আর কোন প্রশ্ন ছিল না। কিন্তু কুশলের স্বপ্ন যেন একটির পর একটি করে ভয়ানক এক আকষ্মিকের আঘাতে