পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রিসন্ধি । 26 যে শিক্ষা প্রবর্তিত হইয়াছে বলিয়া আমরা এতদূর কল্যাণ লাভ করিয়াছি, সেই শিক্ষার প্রচলন জন্য যাহার চেষ্টা করিয়াছেন, তাহাদিগের নিকট আমরা যে চিরকৃতজ্ঞ, সে কথা কি আর বলিবার প্রয়োজন আছে ? এই দেশবাসিগণকে শিক্ষাদান সম্বন্ধে ইংরাজ গবর্ণমেণ্টের সবিশেষ আগ্রহ ছিল এবং ডেভিড হেয়ার, লর্ড মেকলে প্রভৃতি মহাত্মাগণ এ সম্বন্ধে । গবর্ণমেণ্টকে উৎসাহিত করিয়াছিলেন । র্তাহাদিগের স্যায় এতদেশীয় আর একজন মহাত্মার নিকটেও আমরা কৃতজ্ঞতাপাশে বদ্ধ, তিনি স্বৰ্গীয় রাজা রামমোহন রায় । রামমোহন রায় ভারতবর্ষের প্রাচীন বেদ উপনিষদ প্রভৃতি শাস্ত্রে সুপণ্ডিত ছিলেন । ইংরাজী শিক্ষা প্রবর্তিত হইবে কিনা, এ সম্বন্ধে যখন বাদামুবাদ ও বিচার চলিতেছিল এবং অনেকেই ইংরাজী শিক্ষার বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করিতেছিলেন, তখন রামমোহন রায় তৎকালীন গবর্ণর জেনারেল লর্ড আমহাষ্টকে ১৮২৩ খৃষ্টাব্দে ইংরাজী শিক্ষার পক্ষ সমর্থন পূর্বক এক পত্র লেখেন। সেই পত্রে তিনি অতি সুস্পষ্ট রূপে প্রদর্শন করিয়াছিলেন যে, কেবল সংস্কৃত ও পারসি শিক্ষায় এ দেশীয় লোকের উপকার হইবে না, ইংরাজী শিক্ষা ব্যতীত এদেশের উন্নতির সস্তাবনা অল্প । অবশেষে ১৮৩৫ খৃষ্টাব্দে মহামতি লর্ড উইলিয়াম বেণ্টিঙ্কের শাসন সময়ে পাশ্চাত্য শিক্ষার পক্ষাবলম্বিগণের জয় হইল । হুগলী জিলার অন্তর্গত খানাকুল কৃষ্ণনগরের নিকটবৰ্ত্তী