পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૯:૨ ত্রিসন্ধি । ফতেপুর সিক্রি আকবরের প্রিয় বাসস্থান হইলেও আগ্রার দুর্গে তাহার ও অন্যান্য মোগল বাদশাহের অনেক স্মৃতি-চিহ্ন অছাপি বিদ্যমান আছে। আকবর, জাহাঙ্গীর, সাহজাহান ও ঔরঙ্গজেব—সকলেই আগ্রার প্রাসাদ-দুর্গে বাস করিয়াছিলেন । এই প্রাসাদ-দুর্গ আগ্রার রেলওয়ে ষ্টেশনের গাত্রসংলগ্ন । হস্তীপ্রবেশ করণোপযোগী ভীমকায় সিংহদ্বার অতিক্রম করিলেই নহবৎখানা দৃষ্টিগোচর হয়। নহবৎখানার পরে প্রাসাদমধ্যে বেগম মহালগুলি বিচিত্র সৌন্দর্য্যে পথিকের নয়ন মুগ্ধ করিয়া থাকে। জাহাঙ্গীর-মাতা আকবরের হিন্দু মহিষীর যেরূপ হিন্দু আকারের মহাল ফতেপুর সিক্রিতে দৃষ্ট হয়, আগ্রা-প্রাসাদ-দুর্গেও অবিকল সেইরূপ একটা মহাল দৃষ্ট হয়। ইহা স্থানে স্থানে ভগ্ন হইয়াছে, তথাপি পুরাতন, কারুকার্য্যের পরিচয় দানের নিমিত্ত স্থানে স্থানে নানা বর্ণের প্রস্তর-খচিত পুরাতন চিত্র-কৰ্ম্মের যথাযথ অনুকরণ ইংরাজ সরকার বাহাদুর করাইয়। রাখিয়াছেন। নূরজাহানের মহালও কারুশিল্পে অতীব রমণীয়। তাহার অদূরে জলক্রীড়ার স্থান। এক প্রান্তে দেওয়ান-ই-খাস । দেওয়ান-ই-আম তাহার কিঞ্চিৎ দূরে। এইস্থানে ইংরাজ-সৈনিকের বারাক হইবার পর হইতে ইহার ঐ বিনষ্ট হইয়াছিল। সারজন ষ্টাচী মহোদয় যখন হইতে আগ্রা-অযোধ্যা যুক্ত প্রদেশের শাসনভার গ্রহণ করিলেন, তখন হইতে এই প্রাচীন কীর্তিগুলি রক্ষা করিবার নিমিত্ত তিনি যত্নের