ԳՀ ত্রিসন্ধি । আমেরিকা মহাদেশ—সৰ্ব্বত্রই ক্ষুদ্র ইংলণ্ড-দ্বীপবাসিগণের বিপুল সাম্রাজ্য লক্ষিত হইবে। পৃথিবী-পৃষ্ঠের সর্বত্র বিস্তৃত হইয়৷ পড়িয়াছেন বলিয়া ইহারা পৃথিবীর তাবৎ তত্ত্ব, তাবৎ বৃত্তান্তই অবগত হইবার সুযোগ লাভ করিয়াছেন। আমরা সংক্ষেপে এই প্রবন্ধে, জগতের মানব-জাতির মূল বিভাগ সম্বন্ধে আলোচনা করিয়া শ্বেতাঙ্গ জাতির বিস্তারের বৃত্তান্ত বর্ণনা করিব। জগতে মানবজাতি তিন প্রধান মুল শ্রেণীতে বিভক্ত। প্রথম, ককেসীয় অর্থাৎ শ্বেতবর্ণ জাতি ; দ্বিতীয়, নিগ্রে অর্থাৎ কৃষ্ণবর্ণ জাতি এবং তৃতীয়, মঙ্গোলীয় অর্থাৎ পীতবর্ণ জাতি । ককেসীয় জাতির অন্য এক নাম ইন্দো-ইউরোপীয় জাতি । সমগ্র ইউরোপ, আরব দেশ, পারস্য দেশ, আফগানিস্থান, ভারতবর্ষ, এসিয়ামাইনর এবং আফ্রিকার উত্তর খণ্ডের কিয়দংশ এই জাতির বাসস্থান । ইহাদিগের দৈহিক লক্ষণ সৰ্ববত্র একপ্রকার। শুভ্রবর্ণ, প্রশস্ত মস্তক, উন্নত ললাট ও উন্নত নাসা— এই জাতির দৈহিক বিশেষত্বের লক্ষণ । * মঙ্গোলীয় জাতি উত্তর, মধ্য এবং পূর্ব এসিয়া এবং ইউরোপের বিচ্ছিন্ন কতকগুলি স্থানে বাস করে । পীতবর্ণই ইহাদিগের প্রধান বিশেষত্ব, এতদ্ব্যতীত ইহাদিগের মস্তক দীর্ঘায়ত, ললাট অনুন্নত, নাসা অনুচ্চ এবং কপোলাস্থিসকল ঈষদুচ্চ। চীন জাতি, জাপানী জাতি ও তাতারগণ এই পীতশ্রেণীভুক্ত। উত্তরমেরুবাসী এস্কিমো প্রভৃতি জাতি এই একই শ্রেণীর অন্তর্গত।
পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/৯২
অবয়ব