পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/২৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হীরালাল বলিল,-“তা, বেশ! যতদিন আমার ছুটী থাকিবে ততদিন আমি কলিকাতা যাইব না। এখন আমার দিকে চাহিয়া দেখ।” যদি বা কুসী মুখখানি অল্প তুলিয়াছিল, কিন্তু হীরালাল যাই বলিল,-“আমার দিকে চাহিয়া দেখ”-আর সেই মুহূৰ্ত্তেই পুনরায় তাহা অবনত হইয়া গেল। হীরালাল বলিল,-“আমার দিকে যদি তুমি চাহিয়া না দেখ, তাহা হইলে কিন্তু আমি কলিকাতায় চলিয়া যাইব ।” একাদশ পরিচ্ছেদ সংসারের কথা চাহিয়া দেখিবে কি, কুসীর চক্ষু তখন জলে পূর্ণ হইয়া গিয়াছিল। কিন্তু হীরালাল কলিকাতা যাইবার ভয় দেখাইল। সেজন্য অগত্যা তাহাকে মুখ তুলিতে হইল। আঁচলে চক্ষু দুইটি মুছিয়া, ঈষৎ হাসিমুখে হীরালালের দিকে সে চাহিয়া দেখিল। কালো মেঘ দ্বারা কতক আচ্ছাদিত,- সূৰ্যকিরণ দ্বারা কতক আলোকিত,- আকাশ যেরূপ দেখায়, কুসীর মুখখানি তখন সেইরূপ দেখাইতে লাগিল । O) বাম গালে একটু কালি লাগিয়াছে। দেখায়; সেইজন্য ঐ কালো দাগটি আমি খুঁইয়া ফেলিতে বলি নাই।” ক্ষেপাইতেছ। ও কালির দাগ নয়, উহাকে তিল, না জরুরি, না কি বলে।” হীরালাল বলিল,— “বটে! তবে ছুরি দিয়া চাঁচিয়া ফেলিলেই চলিবে ।” কুসী বলিল,— “যাও!” হীরালাল বলিল,—“কুসী! তামাসার কথা নহে। আমি তোমাকে দুই-একটি কথা জিজ্ঞাসা করি। তোমাদের সংসারের কথা!— আমাকে পর ভাবিও না, লজ্জা করিও না। ঠিক ঠিক উত্তর ING !” মৃদুস্বরে কুসী জিজ্ঞাসা করিল,-“কি কথা?” হীরালাল বলিল,- “তোমার মেসো-মহাশয়ের যে রোগ হইয়াছে, তাহাকে পক্ষাঘাত বলে। ভাল হইয়া আর যে তিনি কাজ-কৰ্ম্ম করিতে পরিবেন, তাহা বোধ হয় না। এমন কি, অধিক দিন তিনি না বঁচিলেও বঁচিতে পারেন। তাঁহার অবৰ্ত্তমানে তোমাদের সংসার চলিবে কি করিয়া, তাহাই আমি ভাবিতেছি।” হীরালাল যে তাঁহাকে বিবাহ করিবে, কুসীর মনে সে চিন্তা একেবারেই উদিত হয় নাই। নাটক-নভেলের "লাভ'। কাহাকে বলে, তালবাসা কাহাকে বলে, সে সব কথা কুসী কিছু জানে না। হীরালাল কলিকাতা চলিয়া যাইবে, তাহা শুনিয়া তাহার মনে দুঃখ হইল; পৃথিবী সে শূন্য দেখিল, তাহাই সে জানে। কোন বিষয় গোপন করিতে সে শিক্ষা করে নাই; সেজন্য তাহার ফোকুলা দিগম্বর SÓዓ sNNis viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro