পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৪১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিলেন, কিন্তু বিমলার কিছুতেই জ্ঞান হইল না। হারাধন ও বিমলা দুই জনেই অচেতন হইয়া পাশাপাশি সেই শ্মশানভূমিতে পড়িয়া রহিলেন । এরূপ অদ্ভুত ঘটনা কেহ কখনও গল্পেও শ্রবণ করে নাই, চক্ষে দেখে তো দূরের কথা! সকলেই ঘোরতর বিস্মিত হইলেন। কোথা হইতে সে রাত্ৰিতে সে পরমাসুন্দরী কামিনী আসিয়া এরূপ কাণ্ড করিল, কেহই তাহা জানিতে পারিলেন। না। এক্ষণে কি কৰ্ত্তব্য, তাহাও কেহ বুঝিতে পারিলেন না! অবশেষে দুই জনকেই তাহারা খাটিয়া করিয়া হারাধনের বাটী লইয়া গেলেন। তখন প্ৰাতঃকাল হইয়াছে। বলা বাহুল্য যে, এই ঘটনা লইয়া ঘোর কোলাহল পড়িয়া গেল। পুত্ৰকে পুনঃপ্রাপ্ত হইয়া, হারাধনের পিতা-মাতা যারপরনাই আনন্দিত হইলেন বটে, কিন্তু তখনও হারাধনের জ্ঞান হয় নাই, তখনও ভয়ের কারণ বিলক্ষণ ছিল। পূর্ণমাত্রায় তাঁহাদের আহাদ अङ्ग्रेव्ज ना । তৎক্ষণাৎ বড় বড় ডাক্তার আনাইয়া হারাধনের পিতা দুই জনের বিধিমত চিকিৎসা করাইতে লাগিলেন। তিনি সঙ্গতিপন্ন লোক ছিলেন, হারাধন ও বিমলার প্রাণরক্ষার নিমিত্ত অকাতরে অর্থব্যয় করিতে লাগিলেন। দুই জনেই নিদারুণ জ্বর-বিকার দ্বারা আক্রান্ত হইলেন। অজ্ঞান অবস্থায় দুই জনেই প্ৰলাপ বকিতে লাগিলেন। সেই প্ৰলাপের দুই-একটা কথা শুনিয়া, হারাধন ও বিমলার স্বপ্ন-দর্শন প্রভৃতি অদ্ভুত কাহিনীর কতকটা আভাস সকলে পাইলেন। তবে প্রকৃত ঘটনা যে, কি ঘটিয়াছিল, তাহা কেহ বুঝিতে পারিলেন না! বিমলা যে কে, তাহাও কেহ জানিতে পারিলেন না । তখন সে সকল ভাবনা ভাবিবাঙু সময় ছিল না। দুই জনেরই পীড়া অতি ভয়ানক হইয়া উঠিয়াছিল; অনেক সময় তাঁহাৰ্ন্তেজীবনের আশা একেবারেই পরিত্যাগ করিতে হইয়াছিল। কিন্তু বয়সের বলে হউক, স্বৰ্গ চিকিৎসার গুণেই হউক, দুই জনেই সে যাত্রা রক্ষা পাইলেন। তবে একবিংশতি দিনপ্রার্থী রহিলেন। বাইশ দিনের দিন দুই জনেরই জ্ঞান হইল । নবম পরিচ্ছেদ ফলশ্রুতি বিমলার জ্ঞান হইলে, সকলে তাহার পরিচয় পাইলেন। হারাধনের পিতা তৎক্ষণাৎ তাহারা পিতাকে পত্ৰ লিখিলেন। বিমলার পিতা কন্যার অনুসন্ধান করিতে আর বাকি রাখেন নাই। আহারনিদ্ৰা পরিত্যাগ করিয়া রাত্ৰি-দিন তাহাকে খুঁজিতেছিলেন। মাতা ও ভগিনী কমলা, দিবারাত্র তাহার নিমিত্ত কাদিতেছিলেন । বিমলার সংবাদ পাইয়া তৎক্ষণাৎ তিন জনেই হারাধনের বাড়ী আসিয়া উপস্থিত হইলেন। বিমলার পিতার সহিত হারাধনের পিতার ও বিমলার মাতার সহিত হারাধনের মাতার সাতিশয় সদ্ভাব ও প্ৰণয় হইল । বিমলা ও হারাধন ক্রমে সুস্থ ও সবল হইলেন। বিমলা ও হারাধনের গল্প আদ্যোপান্ত ক্ৰমে সকলেই শুনিলেন। আংটি বীরের কথা লইয়া অনেক স্থানে অনেক রূপ বাদানুবাদ উপস্থিত হইল। কেহ বলিলেন, সে দেবতা, কেহ বলিলেন সে ভূত; কিন্তু হাঁদাই মোল্লা বলিলেন যে, সে ೪-೩Ï Boy sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro