পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৭৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফিরাইবার জন্য সকলের পায়ে-হাতে পড়িতে লাগিলেন। গুরুঠাকুর বলিলেন,- “নীেনা ফিরাও! নীেকা ফিরাও! সৰ্ব্বনাশ হইল। কেন মরিতে আস্ফালন করিয়াছিলাম? ভূতে সব জানিতে পারে। আমি তাহাকে ধরিব বলিয়াছিলাম। আমার উপর তাহার। আড়ি হইয়াছে। আমাকে সে এখনি খাইয়া ফেলিবে। হায় হায় দু’পয়সা পাইব বলিয়া এ গ্রামে আসিয়াছিলাম। তাহা না হইয়া প্ৰাণটি হারাইলাম। নীেকা ফিরাও! নীেকা ফিরাও1 ক চ ট ত প। জড় দি গব। হব ঠ।” বড়ালমহাশয় তাঁহাকে অনেক বুঝাইতে লাগিলেন। কিন্তু তিনি বাতুলের ন্যায় হইয়াছিলেন। সেই সমুদয় প্ৰবোধবাক্য তিনি শ্রবণ করিলেন না। আপনার মনে চীৎকার করিয়া তিনি নানারূপ খেদ করিতে লাগিলেন । গুরুঠাকুর বলিলেন, —“ওগো তোমরা ওদিকে আর যাইও না। ওদিকে আর যাইও না। ভোমর! ভোমরা। তোমার কপালে কি এই ছিল? ভোমর!—ওগো ভোমরা আমার ব্ৰাহ্মণীর নাম-তোমাকে নীলাম্বৱী শাড়ী দিব বলিয়াছিলাম। আমি ভূতের পেটে যাইলাম, কে তোমাকে আর নীলাম্বরী শাড়ী দিবে? নিতু! নিতু!—ওগো নিতু আমার ছেলের নাম—কে তোমাকে এখন বিলাতী বিস্কুট কিনিয়া দিবে? মুড়ি তোমার মুখে ভালো লাগে না। সকাল বেলা এখন কি খাইবে? ফুলদার বিলাতী বিস্কুট না হইলে তোমার চলে না, আমি নিজে এখন ভূতের বিলাতী। বিস্কুট হইলাম। প্রথম সে আমার ঘাড়ের রক্ত চুষিয়া খাইবে। তাহার পর আমাকে সে পাতকোর ভিতর লইয়া যাইবে । সেই স্থানে বসিয়া প্রথুম আমার মাংস খাইবে। তাহার পর বিলাতী বিস্কুটের মত কুড় কুড় করিয়া আমার হাড়গু । নীেকা ফিরাও! নীেকা ফিরাও! ক চ ট ত প। জড় দি গব। হব ঠ।” C SNర్ বড়ালমহাশয় কিছু রাগিয়া বলিলেন, র বার আপনাকে বলিতেছি যে, ঐ হুহুঙ্কার শব্দ ভূতের নহে। একজন জীবিত ক্ষিপ্ত ফ্ৰাসী ঐরুপ শব্দ করিতেছে। আর যদি ভূতও হয়, তাহাই ইলেই বা আপনার ভয় কি?ঞ্জ নৃসিংহমন্ত্র জানেন। ভূতকে ধরিয়া বন্ধ করিবেন। বলিয়া সঙ্গে বোতল আনিয়াছেন।” গুরুঠাকুর উত্তর করিলেন,- “ও গো না! ও সামান্য ভূত নয়। ও ব্ৰহ্ম-রাক্ষস । প্ৰবিলতীক্ষ্ণদন্তপঙক্তিরুন্নেতনাসাবংশঃ প্রকটরক্তাক্তনয়ন উপচিত স্নায়ুসন্ততির্ণতগাত্ৰঃ শুষ্ককপোলঃ সুহুতন্ত্তব্যহপিঙ্গলশাশ্রকেশঃ—এই সমুদয় ব্ৰহ্ম-রাক্ষসের লক্ষণ শাস্ত্রে আমি পড়িয়াছি। নীেকা ফিারাও! নীেকা ফিরাও। ক চ ট ত প। জড় দ গাব। হব ঠ।” শেষের কথাগুলি গুরুঠাকুর বিড় বিড় করিয়া উচ্চারণ করিলেন। তাঁহাকে সাহস দিবার জন্য বড়ালমহাশয় পুনরায় বলিলেন,- “এই আমি নীেকার অগ্রভাগে গিয়া দাঁড়াইলাম। ভূত প্ৰথমে আমাকে এখাইবে, আপনাকে খাইবে না।” এমন সময় খাদা ভূতের হুহুঙ্কারে পুনরায় সেই প্রান্তর কম্পিত হইল। হুহু, হুহু, হুহুহু। উক্ত ভূমিসমূহে পুনরায় শৃগালগণ ডাকিয়া উঠিল—হাক্কা হুয়া, হ্যাক্কা হুয়া, হ্যাক্কা হুয়া হু। পক্ষিগণ কলরব করিল। কুকুরগণ উৰ্দ্ধমুখে কাঁদিতে লাগিল। গুরুঠাকুর বলিলেন,- “ঐ শুন গো, ঐ শুনা! ও সামান্য ভূতের ডাক নয়, ও ব্ৰহ্ম-রাক্ষসের ডাক । ব্ৰহ্ম-রাক্ষস তোমার শুষ্ক দড়ি-দাড়ি মাংস ভক্ষণ করিবে না। ছিবড়ে হইবে গো, ছিবড়ে হইবে। বড়ালমহাশয়! তুমি তোমার নিজের শরীর পানে চাহিয়া দেখ। তোমার ও ঔটকো শরীরের চিমড়ে মাংস খাইবে না। আমি শিষ্য-বাড়ী গিয়া দুধ-ঘি খাই। আমার নধর শরীরের RS দুনিয়ার পাঠক এক হও! ~ www.amarboi.comাির্ডন”।*******