পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৮২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এক্ষণে বর প্রার্থনা কর।” পুনরায় আমি ফাফরে পড়িলাম। কি চাহিব, তাহা খুঁজিয়া ঠিক করিতে পারিলাম না। অবশেষে আমি বলিলাম,— “মা! সুন্দরবনে আমার আবাদে মৃগনাভি হরিণের চাষ করিবার নিমিত্ত স্বদেশী কোম্পানী খুলিব মনে করিতেছি। ভেড়ার পালের ন্যায় বাঙ্গালার লোক যেন টাকা প্ৰদান করে, আমি এই বর প্রার্থনা করি।” দেবী বলিলেন,- “কৈলাস পৰ্ব্বতের নিকট তুষারাবৃত হিমাচলে কস্তুরী হরিণ বাস করে। সুন্দরবনে সে হরিণ জীবিত থাকিবে কেন?” আমি বলিলাম— “যে আজ সম্ভব, যে কাজে লাভ হইতে পারে, সে কাজে বাঙ্গালী বড় হস্তক্ষেপ করে না। উদ্ভট বিষয়েই বাঙ্গালী টাকা প্ৰদান করে।” দেবীর সহিত এইরূপ কথাবাৰ্ত্ত হইতেছে, এমন সময় নদী তাহার দক্ষিণ হস্তের আঙ্গুলের উল্টা পিঠের গাট দিয়া আমার মাথায় টাকের উপর তিনটি ঠোকর মারিল । সেই ঠোকারের আঘাতে আমি অজ্ঞান হইয়া পড়িলাম। ডমরুধরের দালানে চতুৰ্ভুজ নামক এক ব্ৰাহ্মণ যুবক বসিয়া গল্প শুনিতেছিলেন। লম্বোদর তাহাকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন,- “আচ্ছা, চতুর্ভুজ! তুমি তো বি-এ পাস করিয়াছ, অনেক লেখা-পড়া শিখিয়াছ। ডমরুধর শিব ও দুর্গার স্তবের কথা বলিলেন। তুমি একটা স্তোত্র বল দেখি, শুনি।” চতুৰ্ভুজ তৎক্ষণাৎ বলিলেন,— “শিব দুর্গার স্তোত্র এই, ওঁ অমৃতোপস্তরণমসি স্বাহা। ওঁ ་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་་ ○ — “প্ৰভুমীশমনীশমশেষগুণং গুণহীনরং, প্ৰণমামি শিবং শিব কল্পতরুমা” ইত্যাদি। জগদ্ব্যাপিকে বিশ্বরূপে। নমস্তে জগদ্বন্দ্যপদারবিন্দে, ডমরুধর বলিতে লাগিলেন, — “কিছুক্ষণ পরে আমার চৈতন্য হইল। আমি উঠিয়া বসিলাম। চারিদিকে চাহিয়া দেখিলাম যে, মহাদেব নাই, দুর্গা নাই, নদী নাই, দোলা নাই, সে স্থানে কেহই নাই। কিন্তু আশ্চৰ্য্য! আছে কেবল আর একটি “আমি।” সেই টাক, সেই পাকা চুল, সেই কৃষ্ণ বর্ণ, সেই নাক, সেই মুখ, ফলকথা—হুবহু সেই আমি। প্রতিমার একপার্শ্বে একটি আমি বসিয়া আছি। কোন আমিটি প্রকৃত আমি, তাহা আমি ঠিক করিতে পারিলাম না। একদিকের আমি অন্য দিকের আমিকে জিজ্ঞাসা করিল,— “মহাশয়ের নাম?” সে উত্তর hr፩br află cios (gs se - www.amarboi conf**