পাতা:দত্তা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ না। কিন্তু প্রশ্ন শুনিয়া বিজয়া রক্তচক্ষু মেলিয়া চাহিল। প্রথমটা সে যেন ঠাহর করিতে পারিল না ; তার পরে দুই বাহু, ব্লাড়াইয়া কহিল, আসুন। 多 নিকটে আর কোন আসন না থাকায় নরেন্দ্ৰ তাহার শয্যার একাংশে গিয়াই উপবেশন করিল । চক্ষের পলকে বিজয়া দুই হাত দিয়া সজোরে তাহার হাত চাপিয়া ধরিয়া, বলিল, কাল এলে তা আজ আমার এত জ্বর চোতো না—আমি সমস্ত দিন পথ পানে চেয়ে ছিলুম। নরেন্দ্র ডাক্তার-তাহার বুঝিতে বিলম্ব হইল না যে, প্ৰবল জ্বর উগ্ৰ মদের নেশার মত অনেক আশ্চৰ্য্য কথা মানুষের ভিতর হইতে টানিয়া আনে ; কিন্তু সুস্থ অবস্থায় তাহার অস্তিত্ব, না মুখে না। অন্তরে কোথাও হয় ত থাকে না। কিন্তু অনতিদূরে বসিয়া দুৰ্ভাগ্য পিতাপুত্রের মাথার চুল পৰ্য্যন্ত ক্রোধে’ কণ্টকিত হইয়া উঠিল। নরেন। সহজ। সান্তনার স্বরে প্রসন্ন-মুখে কহিল, ভয় কি, জর দু’দিনেই ভাল হয়ে यigद । 最 তাহার হাতখানা বিজয়া একেবারে বুকের উপর টানিয়া লইয়া একান্ত করুণ-সুরে কহিল, কিন্তু আমি ভাল না হওয়া পৰ্যন্ত তুমি কোথাও যাবে না বল-তুমি চ’লে গেলে আমি হয় তা বাঁচব না। জবাব দিতে গিয়া নরেন মুখ তুলিতেই দুই যোড়া ভীষণ চক্ষুর সহিত তাহার চোখোচোখি হইয়া গেল। দেখিল, একান্ত সন্নিকটবৰ্ত্তী নিঃশঙ্কচিত্ত শীকারের উপর লাফাইয়া পড়িবার পূর্বাঙ্কে ক্ষুধিত ব্যান্ত্র যেমন করিয়া চাহে, ঠিক তেমনি দুই প্ৰদীপ্ত চক্ষু মেলিয়া বিলাসবিহাৱী তাহার প্রতি চাহিয়া আছে: >总决