পাতা:দত্তা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"दां বিজয়া কহিল, বাবা মৃত্যুর পূর্বে আমাকে আদেশ করে গিয়েছিলেন ঋণের দায়ে তার বালুবন্ধুর বাড়ীঘর যেন বিক্ৰী ক’রে না নিই। বলিতে বলিতেই তাহার চোখ ছলছল। করিয়া উঠিল । মেহমা পিতার যে অনুরোধ তাহার জীবিতকালে অসঙ্গত খেয়াল বলিয়াই বোধ হইয়াছিল, র্তাহার মৃত্যুর পরে আজ তাঁহাই দুরতিক্রম্য আদেশের মত তাহাকে বাধা দিতেছিল । বিলাস কহিল, তবে তিনিই কেন সমস্ত দেনাটা নিজে ছেড়ে দিয়ে গেলেন না শুনি ? পূর্ণ বিজয় তাহার কোন উত্তর না দিয়া, রাসবিহারীর মুখের প্রতি চাহিয়া পুনরায় কহিল, জগদীশবাবুর পুত্রকে ডাকিয়ে পাঠিয়ে সমস্ত কথা জানানো হয়, এই আমার ইচ্ছে। তিনি জবাব দিবার পূর্বেই বিলাস নির্লজ্জর মৃত আবার বলিয়া উঠিল, আর সে ঘূদি আরো দশ বৎসর সময় চায় ? শুই দিতে হবে না কি ? তা”, ”হ’লে দেশে সমাজ-প্রতিষ্ঠার আশা সাগরের অতল-গর্ভে বিসর্জন দিতে হবে দেখছি। ... বিজয়া ইহারও কোন উত্তর। দিয়া রাসবিহারীকেই লক্ষ্য করিয়া কহিল, আপনি একবার তাঁকে 'ডকে পাঠিয়ে, এ বিষয়ে তার কি ইচ্ছ, জানতে পারবেন না কি ? / রাসবিহীনী-শক্তিশয়-পূর্ব লোক ; তিনি ছেলের ঔদ্ধত্যের জন্য মনে মনে বিরূক্ত হইলেও, বাহিরে তাহীরই মতটাকে ‘সুমীচীন প্ৰমাণ করিবার জন্য. একটুখানি ভূমিকাচ্ছলে শান্স-ধীরভাবে কহিলেন, “ দেখ মা, তোমাদের মতান্তরের মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তির কথা কওয়া, ܐ ܢܘ