একাদশ পরিচ্ছেদ্দ রহিয়া আশঙ্কায় আত্মপ্রকাশ করিতে লাগিল। পৌছুবার ; এখাঁহ-সুর্য · ক্ৰমশঃ একপাশে হেলিয়া পড়িল ; আলোকের চেহারায় ‘দিনান্ত্রেস’ বা * দেখিয়া বিজয়ার বুক দমিয়া গেল। কাল যে লোক চিরদিনের ম: '?:%; ছাড়িয়া চলিয়া যাইতেছে, আজ সে যদি এত দূরে আসিতে, এতখানি।। ৫ সময় নষ্ট করিতে না পারে, তাহাতে আশ্চৰ্য্য হইবার কি আছে! তাহার শেষ সম্বলটুকু যদি অপর কাহাকেও বেশী দামে বিক্রয় করিয়া চলিয়া গিয়া থাকে, তাহাতেই বা দোষ দিবে কে ? তাহদের শেষ কথাবার্তা • গুলি সে বারবার তোলাপাড়া করিয়া নিরতিশয় অনুশোচনার সহিত মনে করিতে লাগিল যে, মনের মধ্যে তাহার যাহাঁই থাক, মুখে সে এ | সম্বন্ধে আগ্রহাতিশয্যা একেবারেই প্ৰকাশ করে নাই । ইহাকে অনিচ্ছা! কল্পনা করিয়া সে যদি শেষ পৰ্যন্ত পিছাইয়া গিয়া থাকে ত, দৰ্পিতার উচিত শাস্তিষ্ট হইয়াছে বলিয়া হৃদয়ের ভিতর হইতে যে কঠিন তিরস্কার ধারংবার ধবনিত হইয়া উঠিতে লাগিল, তাহার জবাব সে কোন দিকে চাঠিয়াই খুজিয়া পাইল না। কিন্তু পরেশর্কে কিম্বা আরাকাচাকেও ৷ কোন ছলে তাঙ্গার কাছে পাঠানাে যায় কি না, পাঠাইলেও তাহারা খুজিয়া পাইবে কি না, তিনি আসিতে স্বীকার করিবেন কি না, এমনি তৰ্ক-বিতর্ক করিয়া, ছট্-ফট্ করিয়া, ঘড়ির পানে চাহিয়া ঘর বাহির করিয়া ধখন কোন মতেই তাহার সময় কাটিতেছিল না, এমনি সময়ে পরেশ ঘরে টুকিয়া সংবাদ দিল, মাঠান, নীচে এসো, বাবু এসেছে। বিজয়ার মুখ পাংশু হইয়া গেল ; কহিল, কে বাবুরে ? পরেশ কহিল, কাল যে এসেছালে,-তেনার”হাতে মন্ত একটা কামুড়ার বাক্স রয়েছু মা’ঠান। ৮ s
