পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

profs নিমফল-ঝোলানো রাংতার গিল্টি-করা বাজু-পৌরাণিক চিত্রের ব্যাপার। তবুও সে একজন ছোকরা চাকরকে বলিল-এই, ওই বাবু আর মাইজিকে ডেকে নিয়ে আয় তো ! তাহার বুকের মধ্যে একটি অনুভূতি, যাহা শোভা কখনো অনুভব করে নাই পূর্বে ! রেখাকে গদাধরের সঙ্গে বেড়াইতে দেখিয়াই কি এরূপ হইল ? সম্ভব নয়। উহারা যাহা খুশি করিতে পারে, তাহার তাহাতে কিছুই আসে-যায় না। তবে লোকটির মধ্যে তেজ আছে, সাহস আছে—বেশির ভাগ পুরুষই তাহার কাছে আসিয়া কেমন যেন হইয়া যায়, মেরুদণ্ডবিহীন মোমের পুতুলদের দুদণ্ড নাচানো যাইতে পারে, কিন্তু তাহাতে আনন্দ নাই, জয়ের গৰ্ব্ব সেখানে বড়ই ক্ষণস্থায়ী। শাণিত ছোরার আগার সাহায্যে কচুগাছের ডগা কাটা ! ছোরার অপমান হয় না। তাতে ? গদাধর বাবুর কাছে গিয়া চাকরীটি কি বলিল, গদাধরকে আঙুল দিয়া তাহার দিকে দেখাইল চাকরিটা-এ-পৰ্য্যন্ত শোভা দেখিল । তাহার বুকের মধ্যে ভীষণ টিপা-টিপ সুরু হইল অকস্মাৎ-বুকের রক্ত যেন চলাকাইয়া উপরের দিকে উঠিতেছে। ঠিক সেইসময় ডাক পড়িল-গদাধরের সঙ্গে শোভার আর দেখা হইল না সেদিন । মাস পাঁচ-ছয় কাটিল। পুনরায় পূজা আসিল, চলিয়াও গেল। কাৰ্ত্তিক মাসের শেষের দিকে একদিন শচীন কথায়-কথায় বলিলশুনোচো, গদাধর আমাদের বড় বিপদে পড়েচে । শোভা জিজ্ঞাসা করিল--কি হয়েচে ? >盈9