পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अडि দেখলে আমার গা ঘিন-ঘিন করে। সে বাইরে বসেছিল। ভদ্রতার খাতিরে চা আর খাবার পাঠিয়ে দিলাম-বাইরে ব’সে খেলে। -কোথেকে তাকে জোটালে তোমার দাদা ? --কি ক’রে জানবো ? তবে আমার মনে হলো, টাকাটা ওই মাগীকেই দিতে হবে দাদার। ভাবে তাই মনে হলো। দাদা দেনাদার, মাগী পাওনাদার-দাদার মুখ দেখে মনে হলো, টাকা না দিলে তাকে অপমান হতে হবে । -ওসব ঢং অনেক দেখেচি ! ছি-ছি, আমার বাড়ীতে এই সব কাণ্ড!! আর তুমি কি না -লক্ষনীটি, রাগ কোরো না। আমার কি দোষ, বলে ? আমি কি ওদের ডেকে আনতে গিয়েছি ? আমি তাই দেখে দাদাকে এখানে থাকতে খেতে পৰ্য্যন্ত অনুরোধ করিনি ! টাকা পেয়ে চ’লে গেল, আমি মুখে একবারও বলিনি যে, রাতটা থাকো ! আমার গা-কেমন করছিল, সত্যি বলচি, মাগীটাকে দেখে! --যাক, খুব হয়েচে। আর কোনোদিন যেন তোমার ওই দাদাটিকে • • • -আচ্ছা, সে হবে। তুমি কিন্তু কোনো খারাপ কথা মুখ দিয়ে বার কোরো না, পায়ে পড়ি। চুপ ক’রে থাকে। গদাধর আর কিছু না বলিয়া চুপ করিয়া গেলেন। এক সপ্তাহের মধ্যে মঙ্গলগঞ্জের কুঠী সম্বন্ধে নিৰ্ম্মল কয়েকবার তাগাদ করাতে একদিন গদাধর নৌকাযোগে কুঠীবাড়ী দেখিতে S