পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আনন্দে ও গর্বের সুরে হাত নাড়িয়া মেয়েটি বলিয়া উঠিল-দেখুন, ওই কাপড় আমি জোর ক’রে ম্যানেজারকে ব’লে আমদানি করি স্টুডিওতে। আমি বলি, স্বামী তো ছেড়ে দিয়েছে, বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে—এমন ধরণের পাড়াগায়ের মেয়ের পরনে জমকালো রঙীন ব্লাউশ বা শাড়ী থাকলে ছবি কুলে যাবে। এজন্যে আমায় দস্তুরমত ফাইটু করতে হয়েচে, জানেন শচীনবাবু? আর দেখুন, ইনি পাড়াগা থেকে আসচেন-ইনি যতটা জানেন এ-সম্বন্ধে" • • সায় দিবার সুরে নিৰ্ম্মল বলিল-তা তো বটেই ! শচীন বলিল-যাক, ওসব নিয়ে তর্কের দরকার নেই, শোভা, একটা গান শুনিয়ে দাও ওকে । গদাধর পূর্ববৎ বিনীতভাবেই বলিল—তা যদি উনি দয়া ক’রে শুনিয়ে দেন• • • * মেয়েটি কিন্তু এতটুকু ভদ্রতা না রাখিয়াই তাচ্ছিল্যের সুরে বলিল -হ্যা, যখন-তখন গান করলেই কি হয় ? শচীন বাবু যেন দিন-দিন কি হয়ে উঠচোন ! গদাধর নিৰ্নেৰ্বাধি নন, তিনি লক্ষ্য করিলেন, শচীন মেয়েটির এ-কথার উপর আর কোনো কথা বলিতে সাহস করিল না, যেন একটু দমিয়ে গেল ! এবার কি মনে করিয়া গদাধর যথেষ্ট সাহস দেখাইলেন। তিনি ব্যবসাদার মানুষ, পড়তি-বাজারে চড়াদামের মাল বায়না করিয়া অনেকবার লাভ করিয়াছেন-তিনি জানেন, জীবনে অনেক সময় দুঃসাহসের জয় হয়। সুতরাং তিনি আগেকার R