পাতা:দরিয়া - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wfiq তুলিয়া বুদ্ধাঙ্গুষ্ঠািট বিজয়ের ব্ৰহ্মরন্ধের স্থানে স্পর্শ করিয়া ছিলেন আর বামহস্ত প্রসারিত করিয়া দরিয়ার মস্তকের কেশ গুচ্ছের ভিতর যেন আদরের অঙ্গুলী চালন করিতে লাগিলেন। দুইজনের দেহই যেন কি এক বৈদ্যুতিক শক্তিতে কম্পিত হইয়া উঠিল। তখন বিজয় উঠিয়া বসিল এবং বদ্ধজানু হইয়া আবার গুরুদেবকে প্ৰণাম করিল। দরিয়াও তদনুরূপ করিল। বাবাজী এইবার হাসিলেন, তেমনি উচ্চ হাস্য করিয়া আবার বলিলেন। হাঃ ! হাঃ ! হাঃ ! বুঝেচিস বেট এ দুনিয়াটাই নর ও নারীর খেলা, পুরুষ ও প্রকৃতির লীলা ইহা ছাড়া আর কিছু নাই। এক আমি বহু হইব এই মহাবাক্যের সার্থকতা সম্পাদন করিবার জন্যই এই সৃষ্টি প্ৰহেলিকা রচিত হইয়াছে। পৰ্ব্বত ও সমুদ্র যেমন প্ৰহেলিকা ইহাও তেমনিই, পৰ্ব্বত গাত্রে গিরি তাঁটণী যেমন উহার হৃদয়ের শ্ৰাদ্ধতার পরিচারক । সমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গ যেমন অগাধ তোয়নিধির অপরিমেয় তাগের এতটুকু পরিচারক, প্ৰেম তেমনি-নির নারীর সন্মিলন আকাঙ্ক্ষা তেমনি অজেয় সৃষ্টি প্ৰহেলিকার পরিচারক । বিধাতার বিধানে তোমরা দুইটি এক ঠাই হইয়াছ, তোমার গুরুর আশীৰ্বাদ সে আশীৰ্বাদ ব্যর্থ হইবার নহে। রমণী তুমি তোমাকে জননী হইতেই হইবে। আর ছল। কলা করিও না, এক বৃন্তে দুই ফুলের মত সাজিয়া গুছিয়া রূপের সাজি পূর্ণ করিয়া হরিদ্বারে যাও আমি সেখানে তোমাদের সহিত সাক্ষাৎ করিব । SSA