পাতা:দরিয়া - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দরিয়া হাবাসী । সদগুরু পাওরে ভেদ বাতায়েৎ জ্ঞান করে উপদেশ । তব কোর লাক ময়লা ছুটে যাব আগ করে পরিবেশ ৷ যেন পিয়ানোর ঝঙ্কারের মত হাবাসী এই দোহাটি আবৃত্তি করিল এবং তাড়াতাড়ি আগাইয়া আসিয়া দরিয়ার চিবুক ধরিয়া বলিল,-হঁ্যালো হঁ্যা ! তুই রূপসী বলে কি আর কারও রূপ ফুটতে নেই ? দরিয়া থতামত খাইয়া যেন দুবার ঢোক গিলিয়া বলিল, দিদি এমনত দেখিনি, দেখিবি বলেই ত বলছি কাটকাল একেবারেই হীরে হল গা ? তোমার গলার আওয়াজ না শুনলে তোমায় চিনতে পারতুম না। এতটা ভোল বদলালে কেমন করে ? হাবসা দরিয়ার গাল টিপিয়া দিয়া বলিল, “হঁ্যা লো হ্যা, কতদিন আর্শীতে মুখ দেখিসনি বলদেখি ? তুই যে আমার যুইএর গোড়ে হয়ে আসছিল। কেবল দুই গালে দুষ্ট থোকা রঙ্গন আছে মাত্র। বাজে বোকে কােজ নেই। আয় আমার সঙ্গে আয়। আমাদের গুহায় বেশ গরম।” এই বলিয়া হাবাদী দরিয়ার হাত ধরিল, যেন ভক্তি প্রেমকে টানিয়া নিজ নিকেতনে লইয়া গেল। নীরবে নির্বাক হইয়া কাষ্ঠ পুত্তলিকার ন্যায় বিজয় এই দুই রূপদুতির অনুসরণ করিলেন। তিনজনে একটা বাক ঘুরিয়া অলকানন্দাব পািড় হইতে একটু নামিয়া এক বিবর মুখে প্ৰবেশ করিলেন । বাহির ৬ইতে দেখিলেই মনে হয় ঘেন একটা শৃগালের গর্ত। কোনও রকমে বুকে হঁটিয়া ভিতরে ঢুকিবার পথ । বিবরকে গহবর বলিয়া মনে হয়। হাঁটু গাড়িয়া কতকটা অগ্রসর হইলে তবে দাড়াইতে পারা যায় ; ক্রমে গহবর প্রশস্ত হয়, ভিতর পরিস্ফুট হয়। তাহার মধ্যে অসংখ্য কক্ষ মাঝে মাঝে বড় বড় হল আর প্রত্যেক কক্ষ্যেই জটাজুটপারা >Rର