পাতা:দরিয়া - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wfiq “এ কি এ ? জীবনটা কি কেবলই দগ্ধাগ্নিতেই কাটবে?” দরিয়া সঙ্গে সঙ্গে আসিয়াছিল। পিছন হইতে বলিল,-জীবনটা কি কেবল তোমার দেহের জন্যই। দিদি কি চিরজীবনটা সধবা হয়ে একাদশী করবে ? জীবন জীবনেরই জন্য, জীবন পরের জন্য নিজের জন্য নহে, একথা আমি বলছি মনে করি ও না তোমার গুরু বাক্য আমি উচ্চারণ করিতেছি । প্রায় পক্ষাকাল এই ভাবেই কাটিল, দরিয়া সঙ্গীতময়ী হইয়াছিল, কেবল গান করিত এবং গান শুনাইত, সেই পুরাতন স্ফৰ্ত্তি, সেই নাচ ও গান পনের দিন অষ্ট প্রহর চলিতেছিল । সহসা একদিন সকালে দরিয়ার কণ্ঠ স্বর আর কেহ শুনিল না তাড়াতাড়ি অপরাজিত তাহার কক্ষে যাহঁয়া দেখে খোকা নিদ্রা যাইতেছে আর দরিয়াও অজ্ঞান, অচৈতন্য হইয়া শুইয়া আছে। তাহার যুথিকা স্তবকের মত রূপ যেন শুখাইয়া মুষড়াইয়া গিয়াছে। অপরাজিত আস্তে আস্তে গিয়া দরিয়ার কপালে হাত দিল- উঃ খুব জর । স্পর্শমাত্রেই দরিয়া চোখ চাহিল এবং মানমুখে বলিল, দিদি চলিলাম। অবশ্য ডাক্তার কবিরাজ আসিলা নিয়মিত চিকিৎসা চলিতে লাগিল কিছুতেই রোগের উপশম ঘটিল না । একদিন কমে ত দ্বিতীয় দিন বাড়ে । বেলা দ্বিপ্রহর, কলিকাতার রাজপথে রৌদ্রের তাপও খুব এমন সময় সেনুমা একটি নারী সঙ্গে বিজয়ের বাটীতে প্রবেশে করিলেন । বিজয় উভয়কে দেখিয়া মাথায় হাত দিয়া বসিয়া পড়িল । প্ৰত্যুতগমন করা ত দূরের কথা। আগন্তুক উভয়ে কোনও কথা না বলিয়া বাটীর ভিতরে প্রবেশ করিলেন এবং সোজা দ্বিতলের কক্ষে দরিয়ার নিকট যাইয়া বসিলেন। দরিয়া তখন অনেকটা শীর্ণ হইয়া গিয়াছে। তাহার দেহ পাংশুময় হইয়া পড়িয়াছে, কষ্টে কথা কহিতে পারে। উভয়ে আসিতেই দরিয়া বলিল, এসেছ ? እ ግ እ