পাতা:দরিয়া - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wf35 আবার হাসিয়া বলিলেন, আমার জায়া ভুমি, আমার পুত্রের জননী সুতরাং আমারও মাতৃ স্থানীয়া, আমি পুত্ররূপে তোমার স্তনপান করিয়াছি। মা হইবার বাকি কি আছে। পুত্রের জন্য তুমি ভাবিয়াছিলে সেই পুত্র হইয়াছে। তুমি জায়া ও জননী,-আর রমণী নও, তোমায় মা বলিব নাত কাহাকে বলিব, তোমার মাতৃস্নেহ না থাকিলে আমি কি আবার মানুষ হইতে পারিতাম। এবার মায়ে পোয়ের পালা সুকুমারী জগদ্ধাত্রী হইয়া বাস : আমি দেখি। তুমিত জগধাত্রী ব্ৰট, নিজের মুখও আশীতে দেখনা, দেখিলে নারীর চোখে নারীর মুখ দেখ। নবজাত আমি-ব্ৰাহ্মণ আমিগুরু কৃপায় ধন্য আমি, পুত্রের দৃষ্টিতে তোমায় দেখিতেছি। তুমিই আমার e१ानी भl, अभद्ध अखि खननी । সুকুমারী মাথা হেঁট করিলেন আর তাহার সেই দুই আয়ত নয়নের কোন হইতে দুইটা বড় ফোটা টপটপ করিয়া মাটিতে পড়িল। একটা । পােজর ভাঙ্গা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া তিনি ধীরে ধীরে একটি কুশাসন আনিয়া পাড়িয়া দিলেন । সুকুমার বসিলেন। প্রশান্ত প্ৰদীপ্ত মূৰ্ত্তি, কষিত কাঞ্চনের হ্যায় বর্ণ, নাতি স্থূল নাতি দীর্ঘদেহ, ঘনবিন্যস্ত ভ্ৰযুগলের নীচে কৃষ্ণতার চক্ষু দুইটি হইতে যেন ঝলকে ঝলকে হঁাসি উথলিয়া দিয়া দেহ লবণ্যে যেন আনন্দ বিচ্ছুরণ করিয়া সদানন্দ বিগ্রহের ন্যায় বিরাজ করিতে লাগিলেন, এমন সময় নাচিতে নাচিতে নন্দ আসিয়া উপস্থিত হইল-বাবা এসেছেন। বাবা এসেছেন বলিয়া বাপের কোলে যাইয়া বসিল । চাদের কোলে চাদ ফুটিয়া উঠিল। তখন মুকুমার আবার হাঁসিয়া বললেন,-মে-সুকুমারী কাছে এসে বস মা । বামে আসিয়া বাস জগত সৃষ্টির অপরূপ রূপ পূর্ণতা করুক এই বলিয়া সুকুমার নদের চিবুক ধরিয়া আবার বলিলেন হাঁ্য বাবা, 88