পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ণেন্দুর স্ত্রী কণক বিয়ের সময় কলেজে পড়ার আলস্তে বেশ মোটা সোটা ছিল, পাঁচটি ছেলেমেয়ে বিইয়ে আর সংসারের কাজে অবিশ্রাম খেটে খেটে মেদ ক্ষয়ে গিয়ে এখন বেশ ছিপছিপে চেহারা হয়েছে। সে হেসে বলে, “ওটা ঠাকুরপোর গায়ের ঝাল। ঝাড়া, আমায় টানতে পারেনি। কিনা ৷” আজ সে হেসে একথা বলে, কিন্তু একদিন গায়ের জ্বালাতে সংসারে তীব্ৰ অশান্তি সৃষ্টি করেছিল, শেষ পৰ্য্যন্ত কৃষ্ণেন্দু আর সন্ধ্যাকে তাড়িয়েই দিয়েছিল বাড়ী থেকে । তাড়িয়ে দিয়েছিল সন্ধ্যাকে নীচু করার শেষ চেষ্টা ব্যর্থ হবার পর। একদিন বানিয়ে সে একটা গল্প বলেছিল কৃষ্ণেন্দুকে । হীরেন তখন সৰ্ব্বদা এ বাড়ীতে আসত যেত। স্বচক্ষে সে দেখেছে হীরেন। আর সন্ধ্যা কৃষ্ণেন্দু বলেছিল, "তাই নাকি ? তবে তো মুস্কিল |” মুস্কিল ? শুধু মুস্কিল ? কণকের এটা সহ্য হয় নি। “আমার বাড়ীতে এসব চলবে না ঠাকুরপো । তুমি অন্য কোথাও যাও।” তারপর কৃষ্ণেন্দু যখন জেলে, একটি মেয়েকে জন্ম দিয়ে সন্ধ্যা মরে যায়। সন্ধ্যা কাছে থেকে যে বিকার সৃষ্টি করেছিল কাণকের মনে, তার প্রতিক্রিয়া সুরু হয়েছিল সন্ধ্যা দুরে যাবার পর থেকেই। সন্ধ্যা মরে গেছে শুনে কণকের প্রায় মাথা খারাপ হবার উপক্রম হয়। একদিন জেলে দেখা করতে গিয়ে কঁদতে কঁাদিতে কৃষ্ণেন্দুর কাছে সে স্বীকার করে আসে তার বজাতির কথা । কৃষ্ণেন্দুর মেয়েকেও একরকম ছিনিয়ে নিয়ে আসে তার দিদিমার কাছ থেকে । কাণকের মাই টেনেই সে বড় হয়েছে। এখন তার বছর চারেক বয়স, সবাই পুতুল বলে ডাকে। কৃষ্ণেন্দুর চেহারা যেমন হোক, সন্ধ্যার রূপ দেখে চোখে পলক পড়ত না মানুষের, মনে হত সে বুঝি মাখন দিয়ে গড়া পুতুল । cभ८७ ख्ञ८न भ८ब्र मऊ श८८छ् । A'SI