পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কদৰ্য্যতা আর বীভৎসতা যত অসহ্য হয়ে উঠছে তার কাছে, তত সে মরিয়া হয়ে মেতে যাচ্ছে এই সব হতভাগা হতভাগিনীদের জীবনের আবর্জনা সাফ করার কাজে । এদের কিছু করলে তবে তো তার মুক্তি, তবে তো সে এখান থেকে চলে গিয়েও বলতে পারবে, দেখলে তো পালিয়ে আসিনি, আমি এই করেছি। আর ওই করেছি। ওদের YYS BDDt SBYS BD gDLBD BDBS DD DBS BB DDD উচ্চারণ করতে পারে না, প্ৰাণ কেঁদে ওঠে সকলের সেই অনুচ্চারিত শব্দ-গ্যাসে। ছেলে মেয়েকে মারতে পারে না, গা চুলকোতে পারে না, পিক ফেলতে পারে না, খোস প্যাচড়ায় ওষুধ না মাখিয়ে রেহাই পায় না, রান্নায় ঝালমশলার স্বাদ পায় না, মুখরোচক অখাদ্য খাওয়া হয় नl cनों कड़ों यांश नां, कांब्र७ कड कि । তাছাড়া, সবাই টের পেয়েছে এতটুকু উপকার পাবার ভরসা তার কাছে নেই। একে একে কয়েকজন নানাভাবে দুঃখ ও প্রয়োজন জানিয়ে টাকা চেয়ে গেছে তার কাছে। টাকা দিয়ে কারো উপকার করতে মমতা অস্বীকার করেছে। বলেছে, “আমার কি টাকা আছে যে দেব ? আমি যে তোমাদের মত গরীব ।” তাছাড়া, তার কথা শুনে মেয়েরা কিছু অবাধ্য হতে শেখায় আর মেয়েদের উচিতমত শাসন করতে না পারায় পুরুষরা বিরক্ত হয়েছে। মেয়ের বিরক্ত হয়েছে পুরুষদের এক একজনের সঙ্গে যখন তখন এক এক সে গুজগাজ ফিসফাস করে বলে । কয়েকদিনের মধ্যে তাই চারিদিকে বিদ্রোহ মাথা তুলতে আরম্ভ করে। কেবল কথা না শোনার বিদ্রোহ নয়, বাবালো আক্রমণ । হৃদয়ে হৃদয়ে গভীর বিদ্বেষ গুমরে বেড়াতে বেড়াতে হঠাৎ দ্বিধা ভয় সঙ্কোচের বঁাধন ছিড়ে বাইরে বেরিয়ে আসতে সুরু করে। মমতা চমকে উঠে দিশেহারা হয়ে যায়। voy