পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“আমি ডাকলে ওরা আসবে কেন ? আমি মুছলমান।” ‘এবার জবাব দিন আলি সা’ব । আপনাকে ছাড়িয়ে দিয়ে লোকনাথবাবু। তবে কি দোষ করেছেন ? পাচ সাত বছর চল্লিশ বিয়াল্লিশ জন লোককে দিয়ে আপনি কাজ করালেন, তারপর যখন নতুন মালিক এসে আপনাকে ছাড়িয়ে দিল, সাতজন মুছলমান ছাড়া আর কেউ আপনার দলে গেল না । কেমন কাজ করেছিলেন। আপনি সাত বছর ? জাতভাইদের দিকে টেনে বাকী সকলের ওপর অন্যায় করেছিলেন নিশ্চয় । আপনি যদি এমন লোক, আপনাকে কি করে রাখা চলবে বলুন ?” ওসমান কথা বলতে যাচ্ছিল, হাত তুলে তাকে থামিয়ে দিয়ে কৃষ্ণেন্দু বলে চলল, “আরেকটা মানে হতে পারে। আপনি ব্যবহার করতেন ভাল কিন্তু ওই বাকী লোকগুলি খারাপ লোক, আপনি মুছলমান শুধু এইজন্য আপনাকে দেখতে পারত না। বেশ কথা । তাই ধরে নিলাম। কিন্তু তাহলেও লোকনাথবাবু আপনাকে বাহাল রাখতেন। কি করে বলুন ? চল্লিশ বিয়াল্লিশ জন লোকের মধ্যে ত্রিশ জনেরও বেশী যাকে পছন্দ করে না, তাকে সর্দার রেখে কি কারখানা চলে ? আপনার সব বাজে অজুহাত আলি সা’ব। আপনার রাগ হয়েছিল, রাগের জ্বালায় মা’বুব, আজিজদের ক্ষেপিয়ে আপনি গায়ের জ্বালা মেটাতে চেয়েছেন। আপনি চুপচাপ চলে এলে ওরা কাজ করে যেত, এমন কষ্টে পড়ত না । ওদের ইজৎ রাখতে আপনি কোথায় জান দেবেন, নিজের ফঁাকা ইজ্জত রাখতে, গায়ের বাল ঝাড়তে, আপনি \SS Niger ওসমান অনেকক্ষণ গুম খেয়ে রইল। তারপর ঝাঁঝালো গলায় বলল, “আপনি বড় কড়া কড়া কথা বলেন কেষ্টবাবু।” “খাটি খাটি কথা বলি আলিসা’ব। এমনি ওদের প্রাণটুকু ধুক dbr ,