পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰতিবাদ করে না, কিন্তু আপশোষ জানায়। নিশ্বাস ফেলে বলে, “ঘরে বাইরে এত অশান্তি আমার সয় না কেষ্ট।” “অশান্তিটা কিসের?” কৃষ্ণেন্দু শুধোয়। “এই ঘরে মমতাকে নিয়ে, বাইরে তোকে নিয়ে।” বলে সে একটু হাসবার চেষ্টা করে। ভীরু অপরাধীর মত কেমন এক ধরণের হাসি। তার জীবনে অশান্তি কথাটা যেন অন্যায়, তারই দোষ। এভাবটা হীরেনের দিন দিন বাড়ছিল। মমতা আর কৃষ্ণেদুর সঙ্গে কথা বলার সময় নিজেকে সে যতদূর সম্ভব লোপ করে দেয়-তার নিজস্ব পছন্দ-অপছন্দ ভাল-লগা ভাল-না-লাগার কথা মুখে এলে উচ্চারণ করেই গিলে ফেলে। ভেতরটা তার পুড়ছে। ঘুটের মত ধীরে ধীরে গোপনে। এটাও সে মানতে চায় না-জালাটা পৰ্য্যন্ত। সে কি ছোট লোক, অমাজ্জিত, অসভ্য, স্বার্থপর যে আরিফ জেলে আছে, মমতা শান্ত হয়ে ফিরে এসে সন্ধি করেছে, তবু সে ঈর্ষায় জ্বলবে, সর্বদা মনে DBDDB DDD LBDBD BBBYSDBBDS DDDDD S যদি সে ভাবতে পারত যে মেয়ে জাতটাই এরকম। এটা ভাবতে গেলেই দিগম্বরীর কথা মনে ভেসে আসে-গেয়ে অশিক্ষিতা দিগম্বরী, স্বামী ছাড়া যার জগতে দ্বিতীয় পুরুষ নেই, সেবা। আর শ্রদ্ধা। যার 형5 || কৃষ্ণেন্দুও হয়তো তাকে তুচ্ছ অনাবশ্যক মনে করে এ সন্দেহের জ্বালাটা যখন বেড়ে যায়, নিজেকে বড় এক মনে হয়। হীরেনের, গভীর বিষাদ ঘনিয়ে আসে। সন্দেহ সত্য হয়ে দাড়াবার ভয়ে সে কৃষ্ণেন্দুর ওপরে বন্ধুত্বের জোর খাটায় না, নির্বিবরোধ ব্যবহারের চেষ্টা করে। DS DBBDB uuDBD D BB DD DBDBDB DBDLLBH S দু’চার জন ছাড়া লোকনাথের কারখানার সকলে প্ৰায় একসময়েই 2 (W)-3\e