পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিন কাটতে থাকে, হীরেনের মধ্যে মদের পিপাসা জাগবারা’ কোন লক্ষণ দেখা যায় না। হঠাৎ এক সন্ধ্যায় পাঞ্জাবীর দু’পকেটে পোর্ট বোঝাই করে কোন এক মেয়ের ঘরে গিয়ে হাজির হয়। তাকে। দেখেই মেয়েটির দু’চোখ লোভে জল জল করে ওঠে, বাড়ীর ঘরে ঘরে অন্য মেয়েদের মধ্যে সাড়া পড়ে যায়, পাড়ায় খবর রটে যায়, সেই তিনি এসেছেন । মেয়েটি তাকে ঘরে নিয়ে বসাতে না বসাতে বেঁটে ফস নিরীহ একটী লোক হাজির হয়। আনন্দ জানায় না, উচ্ছাস প্ৰকাশ করে। না, একবার জিজ্ঞাসাও করে না কেমন আছেন । কাল যেন তার* হীরেনের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। DutD G BB BBS LS SKD SKBDS DD DDDS আকারের নানা বোতলে । একে একে পাচ সাতটী দিন কেটে যায়, হীরেন বাড়ী ফেরে না, এ বাড়ীর বাইরেও পা দেয় না । মেয়েটার’ ঘরে মদ খায় আর ঘুমায়, ঘুমায় আর মদ খায়। দু'একদিন কাটবার পরেই কয়েকটি বিশিষ্ট বন্ধু কি ভাবে যেন আন্দাজ করে নিয়ে আসা সুরু করে, কোন কোনদিন সন্ধ্যার পর মেয়েটির ঘরে ডজনখানেক - মানুষের সমাবেশ পৰ্য্যন্ত ঘটে যায়। নিরীহ বেঁটে লোকটী ইতিমধ্যে একবারও দেখা দেয় না। দুপুরে হোক, সন্ধ্যায় হোক, রাত্রি তিনটোয় হোক, খবর পাঠানো মাত্ৰ বোতল পাঠিয়ে দেয় । তারপর খবর আসে কৃষ্ণেদুর কাছে। খবর যে দিতে আসে তাকে কৃষ্ণেন্দু গম্ভীরভাবে জিজ্ঞাসা করে, “আর দু’চার দিন চালালে মরবে মনে হয় ? যদি মরতে পারে দু’চার দিনে, তবে কটা দিন পরেই যাব।” আধঘণ্টার মধ্যে কৃষ্ণেন্দু মেয়েটির ঘরে গিয়ে পৌছয়। হয়ত দেখা যায় মেয়েটি তার চেনা, আগেও দু’একবার এর ঘর থেকেই হীরেনকে সে উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। b?