পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কথাটা বলতে শেষের চিন্তাটাই ত্বাকে সবচেয়ে বেশী সাহায্য করল । বাড়ী থেকে বেরিয়ে যাবার আগে শশাঙ্ক রম্ভাকে বলে গেল সে যেন আজি দিগম্বরীর ঘরে শোয়। রাত্রে সে বাড়ী ফিরবে না । উমাপদর বীে লিলি বড় ঘুমকাতুরে। মাস আষ্টেকের একটি তার ছেলে আছে, অন্ধ ছেলে । দশটার আগেই ঘরে এসে ছেলেকে মাই দিতে দিতে দশ মিনিটের মধ্যে সে ঘুমিয়ে পড়ে। উমাপদ ঘুম ভাঙ্গালে কান্নার একেবারে বন্যা বইয়ে দেয়। ছেলেটা নিজীবী, বেশী জালাতন করে না। চি চি করে একটু সে কঁাদলেই ঘুমের মধ্যেই লিলি আবার তার মুখে মাই গুজে দেয়। একটা দাই আছে ছেলে রাখার, কিন্তু লিলি তাকে ছেলে দিতে চায় না। ছেলে ছাড়া তার ঘুমোতে কষ্ট হয়। নেহাৎ যেদিন বেশীরকম জ্বালাতন করে, অসুখের জন্য মাই না টেনে কঁাদে, শুধু সেদিন দাইকে ডেকে এনে তার জিন্ম করে দেওয়া হয়। দাইয়ের কাছে ছেলে কঁদে কি না কঁদে লিলি বা উমাপদ কেউ টেরও পায় না, দাইয়ের ঘর অনেক তফাতে। ঘুমের ঘোরে লিলি শুধু মাঝে भाg१ दिछनछेिा झाङफुाश्व । আজ লিলি ঘরে এল প্ৰায় সাড়ে দশটায় । নিজের খাটে চিৎ হয়ে শুয়ে উমাপদ তখন বই পড়ছে, বিলাতের নতুন যুগের এক আদর্শ বীরের কাহিনী-কপর্দকশূন্য বেকার এক তরুণ বুদ্ধি খাটিয়ে বাছা বাছা ধনী ঠকিয়ে কি করে নিজে বড়লোক হয়ে প্রতারণার চালাবাজিতে তারমানা ওই একজন ধনীর মেয়েকেই ভালবেসে বিয়ে করে সুখী হল। বইখানার একুশটি এডিসন হয়েছে-চার বছরের মধ্যে। ঘুমে ঢুলু ঢুলু চোখে তাকিয়ে ক্ষীণ কাতর কণ্ঠে লিলি বলল, “গুনছ ? ডাক্তার দেখাবে বলেছিলে যে আজ ?” ‘भgन छिठा ना ।” SO