পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করে নীরেনের ঘরে গিয়ে হাত থেকে বঁাশীটা ছিনিয়ে নিয়ে গালে একটা? bफु दनिgश cाश् । “গলায় রক্ত উঠে। মরবি ?” ভাইপোকে শাসন করে কালীতারা যায় ছাতে। পরদিন সকালে কৃষ্ণেন্দু, হীরেন, মমতা ও আরিফ কলকাতা" পৌছল। আরিফ মমতার বাবার অতিশয় প্রিয় ছিল। মমতার বাপ বৈজ্ঞানিক ও অধ্যাপক, নাম আছে। একালের বৈজ্ঞানিকদেরও সেকেলে ঋষিদের মত সমসাময়িকদের সম্পর্কে দারুণ ঈর্ষা থাকলেও ছাত্রের মেধা থাকলে তাকে প্ৰায় ছেলের মতই ভালবাসতে পারেন। আরিফকে মমতার বাবা প্ৰায় ছেলের মতই ভাল বাসতেন। কিন্তু হঠাৎ ডক্টরেটের চেয়ে দেশের স্বাধীনতাকে বেশী মূল্যবান মনে করে রিসার্চ বন্ধ করে স্বদেশীপনা আরম্ভ করার পর থেকে আরিফকে তিনি दए ख्°iछ्ना दफ्द्रCछन । আরিফ বলেছিল, “দেশে বড় বড় বৈজ্ঞানিক আছেন। নোবেল প্ৰাইজ পৰ্য্যন্ত পেয়েছেন কেউ কেউ। কিন্তু আমার দেশের কি লাভ হয়েছে ? মমতার বাবা বলেছিলেন, “দেশের মৰ্য্যাদা বেড়েছে -পৃথিবীর লোক জেনেছে আমরা তুচ্ছ নই। আমাদের মাথা আছে ।” আরিফ বলেছিল, “তার তো কোন প্ৰমাণ পাই না। পৃথিবীর লোক জানে আমরা অসভ্য-জংলী । ইংরেজ আমাদের সভ্য করেছে। আমরা এমন অসভ্য যে ধৰ্ম্ম নিয়ে হানাহানি করি। বৃটিশ গভর্ণমেণ্ট" তাই বাধ্য হয়ে আমাদের সামলে চলেছে। আমার কি মনে হয় জানেন ? আমরা যখন আমাদের দু’চারজন বড় বড় লোককে নিয়ে গৌরব করিাসমস্ত জগৎ তাসে। আমাদের গৌরব করার যদি কিছু সাজে। সেটা শুধু Vo