পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হত, কারখানায় বিষ্টর হাতে চোট লেগেছে। পরেশের ঘর থেকে । লণ্ঠন এনে এ ঘরের দাওয়ায় পুরুষ শ্রোতাদের কাছে নামিয়ে রেখে দুৰ্গা বলল, “আজকের দিনটি তুমি বাজাও গো বিষ্ট দাদা, শুনছো ? ওস্তাদি ক্ষয়ে যায় তো যাবে, বলে দিনু এক কথা ।” মেয়েদের মধ্যে বসে বিষ্টর বোনের সঙ্গেই রম্ভ কথা বলছিল। এক নজর তার দিকে তাকিয়ে বিষ্ট উঠে এসে বঁায়া তবলার সামনে বসল। চাদ উঠেছে কিন্তু উঠানে দাওয়ায় এখনো জ্যোমার ছায়া, শুধু এক ফালি রূপালী আলো নিমাইএর ঘরের পাশ কাটিয়ে কলাতলায় এসে পড়েছে। দু’টি লণ্ঠনের আলোয় গান শুরু হল। রাস্তার ঘরের দাওয়ায় আর দাওয়ার নীচে উঠানে পুরুষেরা বসেছে, পরেশের ঘরের সামনে মেয়ের । দশ বারটা বিড়ি এক সঙ্গে জ্বলছে, তবলা বঁধতে বিষ্ট এত সময় নিয়েছে যে অনেকে বিড়ি না ধরিয়ে পারে নি। তা সময় নিক বিষ্ট, কারো তাতে আপত্তি নেই, গুণীর মৰ্য্যাদা তারা জানে। শুধু কড়া পোড়া ভেঁাতা। ভাদগুল জীবনে রস জোটে এত কম যে লিজেঞ্জস-লোভী শিশুর মত ধৈৰ্য্য ধরা কঠিন হয়ে পড়ে। উদাসী-আবেগের চর্চাটা এদিকে কম নয়। কিনা, ধৰ্ম্মে কৰ্ম্মে পুরাণে গাথায় ঘরকন্না আত্মীয়তার বন্ধুত্বে কলহে বিবাদে ভাবপ্রবণতার ছড়াছড়ি । এখন লণ্ঠনের আলোয় ভালো করে বোঝা যায় না, দিনের আলো হলে দেখা যেত গান শুনতে শুনতে মেয়ে পুরুষের মুখে যে ভাব ফুটেছে পুরানো কলসীর শ্যাওলাটে সিক্ততার কথাই তা মনে পড়িয়ে দেয়। ঘামের মত প্ৰতি লোমকূপ থেকে যেন অবিরত চুয়োচ্ছে gदि । রামপাল আজ পুরানো সুরে একটি নতুন গান ধরেছে। রাই পাগলিনী পণ করেছে গো f CR Ms GCK MOG TK s