পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামপাল গান ধরবার কিছুক্ষণ পর থেকে রম্ভ একদৃষ্টি তাকিয়ে থাকে রামপালের মুখের দিকে । গানের সুরে গা তার রি-রি করে, প্ৰতি মুহূৰ্ত্তে আশঙ্কা হয় এই বুঝি রামপালের আধ-বোজা চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়বে। এ ন্যাকামি রম্ভার সয় না । এতবড় জোয়ান মন্দ পুরুষ কি করে যে নিজে গান গেয়ে নিজে এমন কাতর হয়ে পড়ে মেয়ে-হাংলা রোগ প্যাটিকা মন-উদ্ভূ-উতু ন্যালাক্ষ্যাপা ছোড়ার মত। হঠাৎ সে উঠে ঘরে চলে যায়। এক অকথ্য বিষাদে তার বুক ঠেলে R KUNJAVS5 5 || নতুন জীবনের নতুন আবেষ্টনীকে জেনে বুঝে সাইয়ে নেবার সঙ্গে রামপালকেও সে জানতে বুঝতে থাকে-মানুষটা ক্ৰমে ক্ৰমে নানা দিকে স্পষ্ট হয়ে ওঠে তার কাছে । এবং এই দিক দিয়ে তার আঘাত আসে সব চেয়ে কঠিন। কাঠগোলার গোলমালের ব্যাপায়ে রামপালের ছেলেমানুষী দেখিয়ে দিয়ে কৃষ্ণেন্দু যখন ভৎসনা করেছিল, একটা খটকা বেধেছিল ।রম্ভার মনে । রামপালের মেয়েমানুষের মত অভিমানী খেয়ালী শিল্পীমানের ঘনিষ্ঠ পরিচয় পেয়ে এখন সে বুঝতে পারে সেদিন তার ভুল হয় নি। বুঝেও কিছুদিন রম্ভ বুঝতে চায় নি। জোর করে মনে করতে চেয়েছিল পিরীতের প্রথম দিশেহারা খেলার আবেগে মানুষ এরকম ভাবপ্রবণ স্বপ্নবিলাসী আর আরামপ্রিয় হয়, খেয়ালী হয়, এলোমেলো চিন্তা করে । কিন্তু দিবারাত্রি যার সঙ্গে বসবাস দহরম মহরম, তার আসল প্ৰকৃতি কদিন না চিনে থাকা যায়। ঝুমুরিয়ার সুৰ্য্যকে পৰ্য্যন্ত একদিন রামপালের তুলনায় তুচ্ছ মনে হয়েছিল ।রম্ভাৱ, ভেবেছিল সুৰ্য্য মুখে যেসব কথা বলত তার রামপাল সেই সব কথা কাজে পরিণত করবে। এখন সে টের পেয়েছে, ওসব চিন্তাই রামপালের নেই। কাঠগোলার ব্যাপারটাতে অবস্থার ফেরে জড়িয়ে গিয়ে দু’দিনের জন্য তার gy) ( ሻ*ዥባ )-ቄ