পাতা:দশকুমার.djvu/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>ペ8 দশকুমার মার্গে গমন করিল। উভয়ে ঘোরতর সংগ্রাম আরম্ভ হইল । কিয়ৎক্ষণ যুদ্ধ করিয়া উভয়েই প্রাণ ত্যাগ করিল। সেই অবলা, রাক্ষস-কর ভ্ৰষ্ট হইয়া আকাশ হইতে পণ্ডিত হইতে লাগিল । আমি উৰ্দ্ধে চাহিয়া ছিলাম, কামিনীকে আমনি লুফিয়। ধরিলাম। দেখিলাম তাহার চৈতন্য নাই। আনি তাহার মুচ্ছ ভঙ্গ করিবার নিমিত্ত সরোবরের সোপানে শয়ন করাইয়। মুখে জল দিতে লাগিলাম। অনেক ক্ষণ পরে তাহার চৈতন্য, হইল, উঠিয়া বসিল । তখন আমি তাহার মুখ-চন্দ্র নিরীক্ষণ করিয়া দেখিলাম সেই প্রিয়তম রাজনন্দিনী কন্তু কবর্তী। তিনিও আমাকে দেখিয়া চিনিতে পারিলেন । তাহার নয়নে অনবরত অঞধারা বহিতে লাগিল। আমি তাহাকে আশ্বাস বাকো সত্ত্বন৷ করিয়া জিজ্ঞাসা করিলাম। প্রিয়ে তুমিরাক্ষস হস্তে কিরূপে পতিত হইলে ? তিনি অশ্রুপুর্ণ নয়নে বলিতে লাগিলেন “ নাথ ! সেই কন্দুকোৎসবের দিন আমি তোমাকে দেখিয়া, মনে মনে তোমাকেই বরণ করিয়াছিলাম। পরদিন যখন চন্দ্রসেনার মুখে শুনিলাম আমার ভ্রাতা তোমাকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করিয়াছে, তখন আমি মনে করিলাম, তোমার বিরহে জীবন ধারণ করা কেবল বিড়ম্বন মাত্র। এই বিবেচনা করিয়া আমি প্রাণ পরিত্যাগের মানসে উপবন প্রদেশে একাকিনী গমন করিলাম। তথায় আমি উদ্বন্ধনের উদ্যোগ করিতেছি, এমন সময় এই দুরাচার রাক্ষস আমাকে হরণ করিয়া আকাশ পথে আসিতে লাগিল। ভাগ্য ক্রমে তোমার হস্তে পতিত হইয়াছি, । আমি এই অচিন্তনীয় প্রিয়াসমাগম লাভ করিয়া অপাের আনন্দ সাগরে মগ্ন হইলাম। র্ত হাকে লইয়। পৰ্ব্বত হইতে অবতীর্ণ হইলাম । নেক আরোহণ করিয়া ক্রমশঃ দামলিপ্ত নগরে উত্তীর্ণ হইলাম । রাজা তুঙ্গধম্বা, পুত্র ও কন্যা এককালে উভয়ের বিপদ শুনিয়া প্রাণ পরিত্যাগের বাসনায় সস্ত্রীক গঙ্গাতীরে অসিয়া প্রয়োপবেশন করিয়া ছিলেন। প্রজাগণ শোকৰ্ত্ত হইয় তাহীর চতুদিকে হাহাকার করিতেছিল । এমন সময় আমি তাহার পুত্র