পাতা:দশোপদেশ.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سس 6t مساس۔ জানেন । র্তাহারা যাহাকে কিছুই নয় বলেন, ব্রহ্মবিদেয় তাহাকে সারাৎসার বলিয়া প্রতীতি করেন। এস্থলে আর ছুইটী সমালোচনীয় বিষয় উপস্থিত হইতেছে। প্রথমতঃ । অনেকে মনে করিতে পারেন যে ঈশ্বর নিরীকণর নিৰ্ব্বিকার অনাদি ও অনন্ত এই সকল বাক্য কেবল শূন্য বা অভাব বোধক । কিন্তু বাস্তবিক তই নহে। তাহ। তামাদের বুদ্ধির অতীত কিন্তু তাহ প্রজ্ঞার বিধাস। তামাদের বুদ্ধিতে ঈশ্বরের ঐ সকল স্বরূপ ষে অভাৰ স্বচক বোধ হয়, তাহ আমাদের বুদ্ধির নিজেরই অভাৰ সূচক, লক্ষিত বিস্ময়ের ভাভাৰ সূচক নহে। এই কথ। ব্রাহ্মধৰ্ম্ম আরো এই রূপে স্পষ্ট করিয়া বলেন যে “ ঘভেt বাচো নিবৰ্ত্তন্তে অপ্রাপ্য মনসা সহ ” । নন এবং বাক্য দুই উহাকে মা পাইয়। ফিরিয়া আইসে। ইহা এজন্য নহে যে ঈশ্বরের কিছুই মাই, আমরা তাহীর মম্বন্ধে কিছুই बलैिंड পারি না, পরস্তু তােহা এই জন্য যে ঈশ্বরের ভাব এমন স্থির, এমন গম্ভীর ও এমন মহান যে আমরা তাহ জানিতে ও বলিতে সমর্থ হুই না, কেবলই স্তব্ধ হইয়া থাকি । দ্বিতীয়তঃ । ঐ সকল বাক্য যেমন অভিবাস্ত্রক নয় তেমনি সাবার আমাদের ধৰ্ম্ম সাধনের অনুপযোগীও নয়। প্রভুত উহা ব্রহ্মজ্ঞান লাভের, উপদেশ এবং অনুষ্ঠানের অনতিক্রমণীয় বেলা ভূমি স্বরূপ। অর্ণমর ঈশ্বরকে পিত৷ বলি, মাত বলি, বন্ধু বলি, সখী বলি,—কিন্তু সকল বাক্যই তামাদের প্রলাপেশক্তি হুইয়া যায়, যদি তত্ত্বজ্ঞান রূপ বেল ভূমি আমাদিগকে নিয়মিত করিয়া না রাখে। ঈশ্বর বিশ্বের অতীত অথচ তিনি গিভা, তিনি অচিন্ত্য অথচ তিনি চিন্তনীয়, তিনি সকলের অগম্য অথচ তিনি আমাদের হৃদয়ের সখী, তিনি মহানু অথচ তিনি আমাদের আত্মার ধন । উtহাকে জানা যায় না এমনও নহে, জানা যায় এমনও নহে { আমাদের পূৰ্ব্বতন ব্রহ্মবাদী ঋষিগণ যথার্থই বলিয়া গিয়াছেন, যে “যদি মন্যসে সুবেদেতি দভমেৰাপি স্থনং স্বং বেথ ব্রহ্মণেরূপং । ”